জাম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রিয় বন্ধুগণ আজকে আপনাদেরকে একটি ফলের পাতার গুণ সম্পর্কে জানিয়ে দেয়া হবে। আমরা তো বিভিন্ন ফল মূল সম্পর্কে জেনে থাকে এবং তাদের গুনাগুন মান এবং খারাপ দিক সম্পর্কে চেয়ে থাকে কিন্তু আজ আমরা জানবো,জাম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা জাম গাছের ছালের উপকারিতা। তো বন্ধুরা দেরি না করে চলুন তাড়াতাড়ি এসব বিষয়ে।
বন্ধুগণ আপনাদের মাঝখানে থেকে অনেকে অবাক হয়েছেন যে জাম পাতার আবার উপকারিতা রয়েছে নাকি। হ্যাঁ জাম পাতার উপকারিতা রয়েছে এবং এই পাতার উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা রয়েছে এবং সেগুলো আপনাদেরকে আজ জানিয়ে দিতে হবে এবং এর পাশাপাশি আরো বিভিন্ন তথ্য জানিয়ে দেয়া হবে।
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা ভালো এবং সুস্থ আছেন। প্রিয় বন্ধুরা জাম আমাদের পছন্দের ফল।আমরা সাকলেই জাম খেয়ে থাকি। আজকে আমরা আলোচনা করবো জামের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে।আপনারা দয়া করে আলোচনাটি মনোযোগ দিয়ে পরবেন।জাম এক ধরনের ফল।জামের বৈজ্ঞানিক নাম Syzygium cumini, Myrtaceae ।
আরো পড়ুন
এটি পরিবারভুক্ত এক ধরনের ফল । বিভিন্ন দেশে নানান নামে পরিচিত এই জাম।যেমন- জাম্বু, জাম্বুলা,জাম্ভুল,জামব্লাং,জাভা,প্লাম,ডুহাট প্লাম,জাম্বোলান ইত্যাদি নামে পরিচিত। আরো বিভিন্ন ভাষায় এর নামকরন করা হয়েছে। জামের প্রধান ব্যবহার ফল বা খাদ্য হিসেবে।এই জাম টক মিষ্টি সুস্বাদু বেশ জনপ্রিয়। চিকিৎসায় এর কিছু ব্যবহার আছে।
বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য কবিরাজ রা বলে থাকেন। বাংলাদেশ প্রচুর জামের চাষ হয়ে আসছে। প্রায় সব দেশেই জাম চাষ করা হয়।আবার জামের বীজ দিয়ে নানান রোগের আয়ুর্বেদী চিকিৎসা করা হয়, যেমন বহুমুত্র।হজমের সমস্যা,উচ্চ রক্তচাপ, মাড়ির প্রদাহ ইত্যাদি রোগে জামের বীজ, ছাল ও পাতা ব্যবহৃত হয়। জামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি থাকে।
জাম গাছের গুঁড়ি থেকে যে কাঠ পাওয়া যায় তা দিয়ে দরজা জানালার ফ্রেম আসবাবপত্র তৈরি করা যায়।জাম খাওয়ার অনেক উপকারীতা আছে যেমন-জামের মধ্যে রয়েছে ‘অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট’ জাতীয় একটি উপাদান। এই উপাদানগুলো তৈলাক্ত ত্বক থেকে অতিরিক্ত সেবাম ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে ব্রণের সমস্যা দূর হয় থাকে।
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা জাম সম্পর্কে জানলেন।পরবর্তী পাঠে জামের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আলোচনা করবো।দয়া করে আপনারা মনোযোগ দিয়ে পরবেন।
জাম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আমরা ইতিমধ্যে জাম সম্পর্কে জেনেছি। জাম খাওয়ার উপকারিতা যেমন আছে তেমনি জাম খাওয়ার উপকারিতা ও আছে।আমরা জানবো জাম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। চলুন শুরু করা যাক।জাম পাতার উপকারিতা -
- জাম পাতা দেহে ক্যান্সারবিরোধী কোষ তৈরি করে।
- জাম পাতার রসে বায়োঅ্যাক্টিভ ফাইটোক্যামিক্যাল বিদ্যমান থাকে,যা লিভারের অসুখ এবং ক্যান্সার আক্রান্ত হবার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- জাম পাতার রস ওজন কমাতে বেশ উপকারী।প্রথমে আপনারা গরম পানিতে জাম পাতা ১০ মিনিট ধরে ফুটিয়ে, পানির রং সবুজ হয়ে এলে পাত্রে নামিয়ে নিন। এই পদ্ধতিতে প্রতিদিন সকালে পান করতে পারেন।
- জাম পাতা চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে।আপনাদের খুব বেশি চুল পড়লে কারিপাতার সঙ্গে জাম পাতা পানিতে ফুটিয়ে পান করবেন।এই মিশ্রণটি মুখের ক্ষত সারাতেও কার্যকর। আবার বিভিন্ন রোগ সারাতে সহায়তা করবে।
অতিরিক্ত ওজন আর ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পেতে জাম পাতার রস খেতে পারেন।প্রথমে জাম পাতা রোদে শুকিয়ে গুড়ো করে নিবেন। এই গুড়োটি সজনে পাতার গুড়োর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। ওজন কমাতে ও সাহায্য করবে, আবার রক্তে শর্করার পরিমাণ থাকে।জাম পাতার উপকারিতা -জামে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে।আয়রন থাকার কারনে রক্তের হিমোগ্লোবিন বেড়ে যায়।
আমাদের শরীরের রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। যারা রক্ত স্বল্পতায় ভোগেন তারা জাম টাতার রস খেতে পারেন এটি তাদের জন্য উপকারী। জামের পাতায় অতি তাপমাত্রায় ভিটামিন সি থাকে, এজন্য শরীরের ইমিউনিটি বাড়তে সাহায্য করে থাকে।জাম পাতা ত্বকের বিভিন্ন ক্ষতি রোধ করে থাকে।আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে তোলে।জাম পাতা খেলে বদ হজম দূর হয়।
পেটের সমস্যা দূর করে। প্রিয় পাঠক বন্ধুরা জাম পাতা বিশেষ গুণসম্পন্ন। তাই এর কোনো অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক নেই।আপনারা উপরিউক্ত যেকোনো কাজে জাম পাতা ব্যাবহার করতে পারেন।আশা করি আপনারা আমরা কথাটি বুঝতে পেরেছেন।
জাম পাতা আপনাদের কোনো ক্ষতি করবে না।বন্ধুরা জাম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানলেন।তবে প্রকৃত পক্ষে জাম পাতা বিশেষ গুণসম্পন্ন হওয়ায় এর কোনো অপকারিতা নেই।
জাম গাছের ছালের উপকারিতা
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা জাম বা জামের পাতা যেমন গুণসম্পন্ন তেমনি জাম গাছের ছাল ও বিভিন্ন ুপকারে আসে।আমরা আলোচনা করবো জাম গাছের ছালের উপকারিতা সম্পর্কে। আপনারা সকলে মনোযোগ দিয়ে পরবেন। জাম গাছের ছাল দিয়ে বিভিন্ন ওষুধ তৈরি করা যায়। শরীরের বিভিন্ন কাটা, ফাটা দাগ, ইত্যাদি সম্পূর্ণ ভালো করার জন্য জাম গাছ ছালের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আরো পড়ুন
শরীরের কোনো জায়গায় ক্ষতি হলে জাম গাছের ছাল পিসে লাগাতে পারেন এতে ক্ষতটি ভালো হয়ে যাবে।আবার অনেকের রক্তচাপ বেশি হয় তারা জাম গাছের রস ১-২চামচ নিয়ে ছাগলের দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে রক্ত পায়খনা বন্ধ করতে পারে।বন্ধুরা অনেকের দাতের মাড়ি থেকে রক্ত পরে,এর সমাধান হিসেবে জাম গাছের ছাল ব্যাবহার করতে পারেন।
জাম গাছের ছালের গুড়ো দিয়ে প্রতিদিন দাত মাজবেন এতে রক্ত পড়া বন্ধ হবে।আবার যাদের দাত হলুদ বা কালো ছোপ আছে তারা জাম গাছের ছাল গুড়ো করে দাত মাজলে ছোপগুলো ওঠে যাবে।দাত সাদা দেখাবে।পেট পরিষ্কার রাকার জন্য জাম গাছের ছালের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বদহজম থেকে রক্ষা করে। বিভিন্ন সমস্যা যেমন-হজমের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ।
মাড়ির প্রদাহ ইত্যাদি রোগে জামের , ছাল ও পাতা ব্যবহৃত হয়। জাম ক্যারোটিন, ভিটামিন সি, লৌহ ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ আমাদের দেহের বিভিন্ন ক্ষয় পূরন করে থাকে।জাম গাছের ছাল রোগ নিরাময়ে ভেষজ গুণ অনেক। শুধু এর ছাল অংশটাই নয়, এর বীজেও ওষুধ হিসাবে ব্যবহার হয়। গলার সমস্যার ক্ষেত্রে জাম ফলদায়ক। জাম গাছের ছাল পিশে পেস্ট তৈরি করে।
তা পানিতে মিশিয়ে মাউথ ওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এতে গলা পরিষ্কার হবে, মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে, মাড়িতে কোনো সমস্যা থাকলে তাও কমে যাবে।প্রিয় পাঠক বন্ধুরা জাম গাছের ছালের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা জানলেন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।উপরিউক্ত সমস্যা সমাধানে জাম গাছের ছাল ব্যাবহার করতে পারেন।আশা করি অনেক উপকার পাবেন।
জামের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আশা করি আমাদের আলোচনাটি মনোযোগ দিয়ে পরছেন।ইতিমধ্যে আমরা জাম, জাম গাছের উপকারীতা,জাম গাছের ছালের উপকারিতা ও অপকারীতা ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করেছি।আপনারা সেখান থেকে অনেক ধারনা পেয়েছেন।আমরা একন আলোচনা করবো জামের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। আপনারা দয়া করে মনোযোগ দিয়ে পরবেন।
চলুন শুরু করা যাক।জামের বিচি আপনারা ফেলে দিয়ে থাকেন।কিন্তু আমাদের আলোচনাটি পরলে আপনারা ার বিচি ফেলে দিতে পারবেন না।জেনে নিন জামের বিচি খাওয়ার উপকারিতা -(১)গ্যাস, অ্যাসিডিটি, বদহজম নানা সমস্যা লেগে থাকে। পেটের সমস্যা থেকে বাঁচতে নিয়মিত ওষুধ খেলে ও উপকার পান না,এক্ষেত্রে কার্যকরী হতে পারে জামের বীজ।
এই বীজ পেটের অসুখ থেকে সহজেই মুক্তি দিতে পারবে। জামের বীজ গুঁড়া করে একগ্লাস পানিতে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে পান করলে উপকার পাবেন।জামের বিচি উচ্চ রক্তচাপ দূরে করতে সাহায্য করে থাকে।তবে খাবারের ক্ষেত্রে হতে হবে সচেতন। এসব রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে কিডনি, হার্ট, চোখ সহ বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি করতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে জামের বীজ। জামের বীজের গুঁড়া মিশিয়ে পানি পান করলে তা উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করবে। এটি হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতেও সহায়তা করে।জামের বিচি খেলে পানীয় ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায়। যে কারণে রক্তে সুগারের মাত্রা নিম্নমুখী হয়।
বীজের গুঁড়া মিশিয়ে পানি পান করলে তা উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করবে। এটি হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতেও সাহায্য করে।জামের বিচি খাওয়ার অপকারিতা -জাম যেমন উপকারিতা শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে ও শরীরকে সবল রাখতে সাহায্য করে। তেমনি জামের বিচি খাওয়ার অপকারিতা রয়েছে।
বন্দুরা জাম সুস্বাদু মিষ্টি হওয়ার জন্য আমরা যেকোনো সময় জাম খেয়ে থাকি। তবে জাম খায়ার নিয়ম আছে,নিয়ম অনুযায়ী না চললে আমাদের শরীরের ক্ষতি হতে পারে।তাই আপনারা খালি পেটে জাম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে অল্প পরিমাণ জামের বিচি খাওয়া ভালো। ডায়াবেটিস রোগীদের অতিরিক্ত জাম বানজামের বিচি খাওয়া নিষেধ।
জামের বিচি খাওয়ার পর দুধ খাওয়া নিষেধ, জাম বিচি খাওয়ার পর অন্ততপক্ষে তিন থেকে চার ঘন্টার মধ্যে দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। যারা প্রতিনিয়ত জামের বিচি খেতে পছন্দ করে তাদের ক্ষেত্রে বলা যায় যে,প্রতিদিন একশত গ্রামের বেশি জাম বা জামের বিচি না খাওয়াই ভালো। গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের জামের বিচি না খাওয়াই ভালো।
এসব বিষয় খেয়াল রাখে অবশ্যই জাম বা জামের বিচি খাওয়া উচিত।প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা জানলেন জামের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।ারো জানচে পরবর্তী পাঠে আলোচনা পড়ুন।
জামের বিচি গুড়া খাওয়ার নিয়ম
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা ইতিমধ্যে জামের বিচি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারীতা সম্পর্কে ধারনা পেয়েছেন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। একন আমরা আলোচনা করবো জামের বিচি গুড়া খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। দয়া করে মনোযোগ দিয়ে পরবেন।জামে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপাদান,যেমন ওলিয়ানকিল এসিড, ক্রাটিগোলিক এসিড, কেইমফেরন,বিটা সাইটোস্টের ইত্যাদি রয়েছে।
আরো পড়ুন
এই জাম বীজের গুড়া বীজ সংগ্রহ করে স্বাস্থ্যসম্মত এবং বৈজ্ঞানিক উপায়ে প্রক্রিয়াজাত করে ন্যাচারাল জাম বীজ গুড়া প্রস্তুত করে থাকে।জাম বীজের গুড়োতে কোন প্রকার ভেজালউপাদান,কেমিক্যাল,প্রিজারভেটিভ ও ধুলাবালির মিশ্রণ ইত্যাদি মিশানো থাকেনা। ন্যাচারালস জাম বীজ গুড়া শতভাগ প্রাকৃতিক ও নিরাপদ।
তবে কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী বিভিন্ন ক্যামিকাল মিশিয়ে বাজারে বিক্রি করে থাকেন।এসব থেকে সাবধানে থাকতে হবে। আপনারা জামের বীজের গুড়ো সংগ্রহ করে প্রতিদিন এক গ্লাস পানির সাথে ১-২চামচ গুড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। জামের বীজ গুড়ো করে খেলে শর্করাযুক্ত বহুমূত্র রোগ প্রতিরোধ সহায়তা হয়। বিভিন্ন সমস্যা যেমনপাকস্থলী, প্লীহা ও যকৃতেরশক্তি বৃদ্ধি করে।
এবং রক্ত ও পিত্তের প্রকোপ প্রশমিত করে থাকে।আবার এই জাম বীজের গুড়ো খেলে উদরাময়, আমাশয়, অর্শ, বমি ও বমিভাব নির্বারণ করে। এছাড়া হজমকারক, দাঁতের গোড়া ও মাড়ির শক্তি বৃদ্ধি করে।তাই আপনারা নিয়মিত জাম গাছের বীজের গুড়ো খেতে পারেন।
উপরিউক্ত সমস্যা থাকলে আপনার জম গাছের বীজের গুড়ো খাওয়া উচিত।এতে শরীর সুস্থ রাখবে ও বিভিন্ন সমস্যা দূর করবে।
জাম গাছের ব্যবহার
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আমরা ইতিমধ্যে জাম গাছের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আলোচনা করেছি।আপনারা ইতিমধ্যে সে সম্পর্কে ধারনা পেয়েছেন এবং জানতে পেরেছেন।আশা করি আপনারা অজানা দিক সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।আমরা এখন আলোচনা করবো জাম গাছের ব্যবহার সম্পর্কে। দয়া করে মনোযোগ দিয়ে পরবেন।
জাম গাছের ব্যাকল,পাতা বীজ ব্যাকটেরিয়ার সমস্যা সমাধানে ব্যাবহার হয়ে আসছে।বিভিন্ন রোগ যেমন- ম্যালিক এসিড, গ্যালিক এসিড, অক্রালিক এসিড, ও ট্যানিন এসিড থাকে জাম গাছে।জাম গাছ ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের ভেষক হিসেবে কাজ করে। াবার ব্যাকটেরিয়া রোধ করে,গ্যাস্টোপ্রটেক্টিভ হিসেবে কাজ করে থাকে।জামের গাছ বিভিন্ন ওষুধ তৈরি করা যায়।
জাম একটি বিশাল ওষুধি গাছ। এবং ফলও বহুগুণে গুণান্বিত থাকে। সবচেয়ে বেশি আয়রন রয়েছে জামে। বড় ছোট বাড়ন্ত ছেলে-মেয়ে, দুগ্ধপ্রদানকারী মা এবং রক্তশূন্যতা যাদের রয়েছে তাদের জন্য জাম অত্যন্ত উপকারী। আর জাম পাতার রস আমাশয়, পেটের পীড়া বা পেটে যত রকমের অসুস্থতা রয়েছে বদহজমসহ এসবের ক্ষেত্রে জাম রস বিশাল উপকারী কাজ করে থাকেন।
যদি কারো কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে তাহলে জামের একটা-দুটো বীজ খেলে সেই সমস্যা দূর হয়ে যাবে।জাম গাছটি রাস্তার ধারে ঝোপে-ঝাড়ে হয় তাই সহজে গাছ কোনো পমু পাখি খেতে পারেন। রাখাল বালক-বালিকারা এর ফল খেলে শারীরিক পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে থাকে। এই গাছে ‘ইউকিলিটাস, আকাশমণি প্রভৃতি গাছের মতো জাম গাছে কোনো প্রকার নেগেটিভ ইফ্যাক্ট নেই।
জাম গাছ অতি সুন্দর এবং পরিবেশবান্ধব একটি দেশীয় প্রজাতির গাছ। আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে এই গাছের ফলটি নিবিড়ভাবে জড়িত রয়েছে। জাম গাছের কাঠ গুনে ধরে না বা সহজে নষ্ট ও হয় না। তাই জাম গাচের কাঠের বেশ গুরুত্ব গুরুত্ব রয়েছে।
চৌকাঠ বা নৌকার জন্য এই কাঠ খুবই ভালো ব্যাবহার করা যায়। জামগাছ রাস্তার ধারে লাগালে মাটি আটকিয়ে ধরে রাখে। জাম গাছ ঝড়ে ভাঙে না এবং তীব্র রোদে স্নিগ্ধছায়া দান করে থাকে।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আমরা ইতিমধ্যে জাম সম্পর্কে বিভিন্ন দিক আলোচনা করেছি।জাম আমাদের অতি পুষ্টিকর ফল।এবং সুস্বাদু ও মিষ্টি জাতীয় ফল।বাংলাদেশের সব জায়গায় এ ফল দেখা যায়। এই ফল সকলেই খেতে পছন্দ করে এবং চাহিদা ও অনেক।জাম খেলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করে।জাম,জামের বীজ, জামের বীজের গুড়ো, জামের পাতার রস ইত্যাদি।
আরো পড়ুন
আমাদের শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে অতিরিক্ত জাম খাওয়া উচিত নয়।প্রতিদিন নিয়ম করে জাম খাবেন এবং জাম খাওয়ার পর পানি খাবেন না এতে দাত কালো হয়।জামে ক্যালোরির পরিমাণ খুব কম, কিন্তু পুষ্টিতে ভরপুর রয়েছে। এই ফলের বীজ, পাতা ও ছালের ঔষধি মূল্য রয়েছে এবং এটি বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাগুলোতে ব্যবহার করা হয়।
এই জামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, জিংক, কপার, গ্লুকোজ, ডেক্সটোজ ও ফ্রুকটোজ, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও স্যালিসাইলেটসহ অসংখ্য উপাদান। আরো জামের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। জাম খেলে মানসিকভাবে সতেজ রাখে-,জামে থাকা গ্লুকোজ, ডেক্সটোজ ও ফ্রুকটোজ রয়েছে যা মানুষকে জোগায় কাজ করার শক্তি।
বয়স যত বাড়তে থাকে, মানুষ ততই হারাতে থাকে স্মৃতিশক্তি। জাম স্মৃতিশক্তি প্রখর রাখতে সাহায্য করে।প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আশা করি আপনারা আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পরবেন।আমাদের আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই জানাবেন।
এবং অন্যদের শেয়ার করে জানার সুযোগ করে দেবেন। আশা করি আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পরবেন। আমাদের পরবর্তী কন্টেন্ট পেতে আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ।
পোষ্ট পড়ে আমাদেরকে আপনার মূল্যবান মন্তব্য লিখুন। আপনাদের প্রতিটি কমেন্ট রিভিও করা হয়
comment url