টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির খাবার তালিকা
প্রিয় বন্ধুরা টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির খাবার তালিকা সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানেন না। আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যায় কেন তো চলুন বন্ধুরা আমরা জেনে আসি টেস্টোস্টেরন হরমোন সম্পর্কে।
প্রিয় বন্ধু আপনার হয়তোবা টেস্টোস্টেরন হরমোন সম্পর্কে জানেন আপনারা যারা টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যায় কেন এই বিষয়টি ভালোভাবে জানেন না তারা অবশ্যই এই পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আপনারা ভালোভাবে জেনে যাবেন টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির খাবার তালিকা সম্পর্কে।
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সকলেই ভালো ও সুস্থ আছেন। আজকে আপনাদের মাঝে নতুন এক অ্যাটিকেল সম্পর্কে আলোচনা করবো।আমাদের আজকের আর্টিকেল হলো টেস্টোস্টেরন সম্পর্কে। টেস্টোস্টেরনের বিভিন্ন দিক যেমন টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির খাবার তালিকা, হরমোন কমে যায় কেন?টেস্টোস্টেরন হরমোন বেশি খেলে কি হয়।
আরো পড়ুন
টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যাওয়ার লক্ষন ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করবো।আপনারা মনোযোগ দিয়ে পরবেন। পুরুষত্বের জন্য দায়ী প্রধান স্টেরয়েড হরমোন যা এন্ড্রোজেন গ্রুপের টেস্টোস্টেরন। মানুষ সহ সকল স্তন্যপায়ী,পাখি ও প্রাণীর শুক্রাশয়ে এটি উৎপন্ন হয়ে থাকে ।স্তন্যপায়ী প্রাণীর ক্ষেত্রে পুরুষের শুক্রাশয় এবং নারীর ডিম্বাশয় থেকে উৎপন্ন হয় এই টেস্টোস্টেরন।
যদিও স্বল্প পরিমাণ অ্যান্ডিনাল গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত হয় এই টেস্টোস্টেরন। পুরুষ হরমোন যেটা শুক্রাশয়ের আরেকটি কোষ উৎপন্ন করে যেটির নাম লেডিগ কোষ। এই হরমনটি অর্থাৎ এই হরমোনের নামটি মূলত শুক্রাশয় টেস্টিস অথবা স্টেরয়ড টিটন অথবা টেস্টিস নাম দুটি শব্দ মাধ্যমে এটার নামকরণ করা হয়েছে।
অথাৎ টেস্টোস্টেরন শব্দের অর্থ হলো শুক্রাশয় নিসৃত কিটোনবিশিষ্ট স্টেরয়েড হরমোন বলা যায়। সাধারণত এন্ড্রোজেন প্রোটিন সংশ্লেষণ করে এবং এন্ড্রোজেন রিসেপ্টর সংবলিত টিস্যুর বৃদ্ধি সাধন করে থাকে।টেস্টোস্টেরনের প্রভাবকে লিঙ্গিক এবং অ্যানাবলিক দুই ভাগে ভাগ করা যায়।মাংসপেশি বৃদ্ধি,হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি।
হাড়ের পূর্ণতা প্রাপ্তিতে উদ্দীপনা করা - এসব অ্যানাবলিক কাজ করে টেস্টোস্টেরন।যৌন অঙ্গের পূর্ণতা প্রদান করা,বিশেষ করে ফিটাসের শিশ্ন এবং শুক্রথলি তৈরি এবং জন্মের পরে কণ্ঠস্বর গাঢ় হওয়া,দাড়ি এবং বগলের চুল বৃদ্ধি - এসব এন্ড্রোজেনিক কাজ। করে। এসবের অনেক কিছুই পুরুষের সেকেন্ডারি যৌন বৈশিষ্ট্য বলা যায়।
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা টেস্টোস্টেরন সম্পর্কে এই পাঠের মাধ্যমে ধারনা আনতে পারবেন।আমরা আরো দিক সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করবো আপনারা মনোযোগ দিয়ে পরবেন।
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির খাবার তালিকা
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা টেস্টোস্টেরন কি তা আপনারা ইতিমধ্যে ধারনা পেয়েছেন।অনেকে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির জন্য খাবার তালিকা জানেন না,তাদের জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটি।এই পাঠের মাধ্যমে আপনারা জেনে নিতে পারবেন।এখন আমরা আলোচনা করবো টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির খাবার তালিকা সম্পর্কে। আপনারা মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
বন্ধুরা আমন্ড, ওটসের দুধ শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। আপনাদের যাঁদের ল্যাকটোজ়ে অ্যালার্জি রয়েছে, তাঁদের কাছে উদ্ভিজ দুধ খাওয়ার মতো ভালো বিকল্প হতে পারে।বেদেনায় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর রয়েছে। এবং প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।বর্তমানে মানসিক চাপ সবার দেখা যায়।
এতে শরীরে হরমোনের মাত্রা ওঠানামা করার অন্যতম বড় কারণ। নিয়মিত বেদানা খেলে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, যার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে টেস্টোস্টেরনের মাত্রার উপরে।আবার তেলযুক্ত খাবার যেমন-রুই, কাতলা, আর, বোয়াল, চিতলের মতো তেলযুক্ত মাছ ওমেগা-৩-ফ্যাটি অ্যাসিড ভরপুর মাত্রায় থাকে।এসব খাবকর হৃদ্যন্ত্র ভালো রাখার পাশাপাশি ওমেগা-৩-ফ্যাটি অ্যাসিড।
শরীরে টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ বৃদ্ধি অসাধারন সাহায্য করে।ডিমে থাকে অ্যামাইনো অ্যাসিড ও ভিটামিন ডি-তে ভরপুর। ডিম শরীরের টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ বৃদ্ধি করে থাকে । ডিম প্রোটিনের একটি ভালো উৎস। তাই রোজ ডায়েটে ডিম রাখা ভীষণ জরুরি।আপনারা নিয়মিত ডিম খাবেন। শরীরের টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ বৃদ্ধি করতে রোজ খাবার ডায়েটে কলা রাখতে পারেন।
নিয়ম করে কলা খেলেও শরীর চাঙ্গা থাকে, শরীরে স্ফূর্তি আসে,শরীর সুস্থ থাকে।প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির খাবার তালিকা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।আপনারা যারা হরমোন বৃদ্ধির জন্য খাবার তালিকা সম্পর্কে জানেন না তারা এ পাঠের মাধ্যমে জানতে পারবেন।
উপরিক্ত খাবার খেয়ে আপনারা হরমোন বৃদ্ধি করতে পারেন।আরো জানতে পরবর্তী পাঠেরআলোচনা পড়ুন।
টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যায় কেন
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনাদের অনেকের প্রশ্ন টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যায় কেন?অনেকের এ সমস্যায় পরেন কিন্তু সমাধান জানেনযমে জেনে নিতে পারবেন। তো বন্ধুরা চলুন শুরু করা যাক।টেস্টোস্টেরন স্টেরয়েড একটি জাতীয় হরমোন, এটি কোলেস্টেরল থেকে সংশ্লেষিত হয়ে তৈরি হয়ে থাকে। এ হরমোন প্রধানত পুরুষ প্রজননতন্ত্রের উন্নয়নে ভূমিকা পালন করে থাকে ।
আরো পড়ুন
এই টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে গেলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়, আবার বেড়ে গেলেও বিপদ দেখা দেয়। টেস্টোস্টেরন পেশির ভর ও শক্তিকে প্রভাবিত করে । এটি শুধু পুরুষদেরই নয় নারীদের মধ্যেও রয়েছে। টেস্টোস্টেরন। নারীদের তুলনায় পুরুষদের এই হরমোন 20 গুণ বেশি রয়েছে। বিভিন্ন রকম কারণ রয়েছে যার কারণে এই হরমোনের মাত্রা কমে যায়।। যেমন-
১. অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান।২. অনিয়ন্ত্রিত মাত্রায় টাইপ-২ ডায়াবেটিস।৩. অনেক সময় শরীরে সমস্যা ও আয়রনের পরিমাণ বেড়ে গেলে সমস্যা হয়ে থাকে।।৪. আদর্শ খাবার গ্রহণ না করা।৫. দীর্ঘদিন জটিল রোগে অসুস্থ থাকলে।৬. অণ্ডকোষের সংক্রমণ।৭. যকৃতের পচন রোগ।৮. এইচআইভি/এইডস।৯. প্রোল্যাক্টিন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি।১০. হঠাৎ স্থূলতা বা ওজন অতিরিক্ত কমে গেলে।
১১. ক্যান্সারের জন্য কেমোথেরাপি গ্রহণ।১২. পিটুইটারি গ্রন্থির কর্মহীনতা বা টিউমার হলে,১৩.জন্মগত ত্রুটি থাকলে ও।১৪. অতিরিক্ত পড়াশোনাতে আপনার অথবা অনলাইনে আসক্ত হয়ে সময়ের পর সময় অলস ভাবে কাটিয়ে দেওয়া।।টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে গেলে দৈহিক চাহিদা কমে যায়। টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে গেলে অনেক সময় শারীরিক অক্ষমতা দেখা দিতে পারে।
সেই সাথে টেস্টিস আকার ছোট হয়ে যায় ও শুক্রাণুর হার কমে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে ।এছাড়া আরও সমস্যা দেখা দিতে পারে-হাড় ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া , ক্লান্তি ও অবসাদ চুল পড়ে যাওয়া ইত্যাদি।প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা ইতিমধ্যে টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যায় কেন সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।আশা করি আমাদের আলোচনার মাধ্যমে।
আপনারা সঠিক তথ্য জানতে পারবেন।আরো জানতে আমাদের পরবর্তী পাঠে আলোচনা পড়ুন। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
টেস্টোস্টেরন হরমোন বেশি হলে কি হয়
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা ইতিমধ্যে আমরা টেস্টোস্টেরন হরমোন সম্পর্কে আলোচনা করেছি।আপনারা টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যাওয়া সম্পর্কে জেনেছেন,এখন জানাবো টেস্টোস্টেরন হরমোন বেশি হলে কি হয়? আপনারা অনেকেই এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চান,আমাদের এ পাঠের মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন।চলুন বন্ধুরা শুরু করা যাক।
টেস্টোস্টেরন নামের সঙ্গে প্রায় সবাই পরিচিত। এই টেস্টোস্টেরন কে মেল সেক্স হরমোন বলা হয়। রমোনটি স্টেরয়েড জাতীয় হরমোন যা প্রধানত কোলেস্টেরল থেকে সংশ্লেষিত হয়ে তৈরি হয়। এটি টেস্টোস্টেরন হরমোন প্রধানত পুরুষ জননতন্ত্রের উন্নয়নে ভূমিকা পালন করে থাকে।টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি পেলে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায়।
শুক্রাশয় শুকিয়ে যায় ও যৌন অক্ষমতা বেড়ে যায়।মানুষের হৃদযন্ত্রের পেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার আশংকা থাকে।প্রোস্টেট অস্বাভাবিক হারে বাড়ে ও প্রস্রাবের সমস্যা দেখা দেয়।বিভিন্ন রোগ ও যকৃতের সমস্যা দেখা যায়।পায়ে পানি জমতে পারে ও পা ফুলে যেতে পারে।টেস্টোস্টেরন হরমোন বেগে গেলে ওজন বেড়ে যায়।
উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়।অনিদ্রা ও মাথাব্যথা বেড়ে যায়।এবং ছেলেমেয়েদের ক্ষেত্রে খাটো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এবং এটির ফলে আরো কয়েকটি আচরণ লক্ষ্য করা যায় যেমন কথায় কথায় হঠাৎ রেগে যাওয়া আবার কিছু কিছু সময় নিষ্ঠুর থাকা। আবার এমনও সময় আছে রক্তচাপের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়।প্রতিনিয়ত ঘুমের পরিমাণ কমে যায় এবং মাথাব্যথার পরিমাণ বেড়ে যায়।কিশোর-কিশোরীদের ক্ষেত্রে খাটো হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা জানলেন টেস্টোস্টেরন হরমোন বেশি হলে কি হয় সে সম্পর্কে। আশা করি আপনারা বুঝতে ও জানতে পেরেছেন।
এসব লক্ষন দেখা দিলে টেস্টোস্টেরন হরমোন বেশি হয়।আপনারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। আরো জানতে পরবর্তী পাঠের আলোচনা পড়ুন।
টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যাওয়ার লক্ষণ
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি টেস্টোস্টেরন কমে যায় কেন? এখন আমরা জানবো টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যাওয়ার লক্ষণ কিকি? অনেকে এ সম্পর্কে ধারনা নেই,তারা এ পাঠের মাধ্যমে জেনে নিন। চলুন বন্ধুরা শুরু করা যাক। পুরুষের শরীরে এই হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়া বা তা তৈরি হওয়া একেবারেই বন্ধ হয়ে যাওয়াটা এক ধরনের শারীরিক সমস্যা বলা হয় ।
আরো পড়ুন
এটি শুধু যৌনক্ষমতা কমে যাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না।এর সঙ্গে চুল পড়ে যাওয়া, পেশির ঘনত্ব কমে যাওয়া, বদমেজাজ ইত্যাদি সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি পুরুষদের যৌনতা ও শারীরিক গড়নেও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে এই টেস্টোস্টেরন হরমোনের অভাবে।নারীর দেহে এই হরমন উৎপন্ন করে। তবে সেটা খুবই অল্প পরিমাণে তৈরি করে। টেস্টোস্টেরনয়ের পুরুষের তারতম্য হয় প্রতিদিন।
এই হরমোনের মাত্রা কমেছে কিনা তা জানতে হলে একাধিক রক্ত পরীক্ষা ও কয়েকটি উপসর্গের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে পুরুষের।টেস্টোস্টেরন পুরুষের যৌনসঙ্গমের ক্ষমতা এবং শুক্রানু উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ’। তাই এর মাত্রা স্বাভাবিকের নিচে নেমে এলে যৌনক্ষমতা মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিশেষ করে পুরুষদের।
পাশাপাশি এই টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে সঙ্গমের আগ্রহও কমে যেতে পারে।টেস্টোস্টেরন’য়ের অভাবের সঙ্গে আবেগতাড়িত বিভিন্ন সমস্যা জড়িয়ে আছে যেমন- মন খারাপ থাকা, মানসিক চাপ, খিটখিটে মেজাজ, মানসিক অস্বস্তি ইত্যাদি। এর কারণ হল, শারীরিক বিভিন্ন দিকের পাশাপাশি মস্তিষ্কের কার্যাবলীতেও প্রভাব ফেলে এই টেস্টোস্টেরন হরমোন।
এর অভাবে একজন পুরুষের মানসিক অবস্থা অনেকটাই বিপর্যস্ত হয়ে যায়।প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যাওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।আরো জানতে আমাদের পরবর্তী আলোচনা পড়ুন।
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির খাবার তালিকা
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আশা করি আপনারা আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পরছেন।উপরিউক্ত আলোচনার মাধ্যমে আপনারা অনেক কিছু জানতে পেরেছেন।এখন আলোচনা করবো টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির খাবার তালিকা সম্পর্কে। আপনারা যারা জানেন না তারা জেনে নিন।আশা করি আপনাদের কাজে লাগবে।
বন্ধুরা আপনারা জানেন, মধুতে আছে প্রাকৃতিক নিরাময়কারী উপাদান বোরোন। এই মধু খনিজ উপাদান, টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ বাড়াতে এবং নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা ঠিক রাখে। যা ধমনী সম্প্রসারণ করে লিঙ্গোত্থানে শক্তি সঞ্চার করে থাকে।বাধাকপি সবজিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকে । আরও উপাদান আছে যেমন- ইনডোল থ্রি-কার্বিনল।
এই উপাদানগুলো স্ত্রী হরমোন ওয়েস্ট্রজেনের পরিমাণ কমিয়ে টেস্টোস্টেরন বেশি কার্যকর করে তুলতে সাহায্য করে।আবার রসুনের আলিসিন যৌগ মানসিক চাপের হরমোন করটিসলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে থাকে ।এর ফলে টেস্টোস্টেরন ভালোমতো কাজ করে। ভালো ফল পেতে রসুন কাঁচা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
স্যাচারেইটেড ফ্যাট, ওমেগা থ্রিএস, ভিটামিন ডি, কলেস্টেরল এবং প্রোটিন উপাদান আছে ডিমে।এই টেস্টোস্টেরন হরমোন তৈরির জন্য এই উপাদানগুলো বেশ জরুরি।কলা ব্রোমেলেইন এনজাইম টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে । আর এই কলা দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি সরবরাহের উৎস হিসেবে কাজ করে।স্ট্রেস হরমোন’ কমানোর পাশাপাশি টকজাতীয় ফলে রয়েছে ভিটামির এ তে।
এটি টেস্টোস্টেরন উৎপন্ন করতে প্রয়োজন হয়। এছাড়াও ওয়েস্ট্রজেনের মাত্রা কমায় অর্থাৎ পুরুষ হরমন ভালোমতো কাজ করতে পারে।প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা জানলেন টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির খাবার তালিকা সম্পর্কে। আশা করি আপনারা মনোযোগ দিয়ে পরছেন।
এসব খাবার খেলে আপনারা হরমোন বৃদ্ধি করতে পারবেন।আশা করি আমাদের আলোচনা আপনাদের ভালো লাগবে।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা ইতিমধ্যে আমরা টেস্টোস্টেরন হরমোন সম্পর্কে বিভিন্ন দিক আলোচনা করেছি। আশা করি আপনারা সম্পূর্ণ আলোচনা মনোযোগ দিয়ে পরছেন এবং জানতে পেরেছেন।এটি নারী পুরুষের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। টেস্টোস্টেরনের প্রভাব বয়স্ক নারীর তুলনায় বয়স্ক পুরুষদের মধ্যে আরো পরিষ্কারভাবে প্রমাণযোগ্য প্রমানিত।
আরো পড়ুন
তবে উভয়ের জন্যই দরকারি। টেস্টোস্টেরনের মাত্রা প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের পরে হ্রাস পাওয়ায় এইসবের কিছু প্রভাব প্রত্যাখ্যান করতে পারে।টেস্টোস্টেরনের অধিক মাত্রা একই ব্যক্তির যৌন ক্রিয়ার সময়সীমার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত থাকে, কিন্তু বিভিন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কম যৌন ব্যক্তিদের জন্য বেশি সক্রিয়।
এই টেস্টোস্টেরন অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ঝুঁকি নেবার পিছনে বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। এইটেস্টোস্টেরন হরমোন আগ্রাসী মনোভাব বাড়ার পিছনেও অনেকাংশে দায়ী। এক ধরনের হরমোন যা পুরুষের মধ্যে পুরুষালি বৈশিষ্ট্যের বিকাশ ঘটায় তাই টেস্টোস্টেরন।এর কারণে একে অ্যান্ড্রোজেন বা সেক্স হরমোন বা লিঙ্গ নির্ধারণী হরমোনও বলা হয়ে থাকে।
এই টেস্টোস্টেরন হরমোন অণ্ডকোষে তৈরি হয়। তাই টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন ঠিক রাখতে অণ্ডকোষ সুস্থ রাখা অনেক জরুরি।টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি পুরুষদের বিকৃত যৌন আচরণের অন্যতম কারণ দেখা দেয় ।এই টেস্টোস্টেরন হরমোনের ঘাটতির কারণে পারফর্মেন্স খুব কমে গেছে, তখন সে পার্ভার্টেড কিছু অ্যাক্টিভিটির দিকে ধাবিত হয়ে থাকে।
যাদের ক্ষেত্রে হরমোনের ঘাটতি খুব দ্রুত হয় তারা বুঝতে পেরে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। কিন্তু যাদের মধ্যে ধীরে ধীরে হয়, সে এর সাথে খাপ-খাইয়ে নিতে নিতে বিকৃত যৌন আচরণের প্রতি আকৃষ্ট হতে পারে। প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আশা করি আমাদের আলোচনা আপনাদের ভালো লেগেছে।আমাদের পরবর্তী কন্টেন্ট পেতে আমাদের সাথে থাকুন। সকলে সুস্থ ও ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
অনেক উপকারী একটি পোষ্ট ধন্যবাদ আপনাকে এই ধরনের পোস্ট করার জন্য। নতুন নতুন ক্যাপশন, ফেসবুক স্ট্যাটাস ও এসএমএস পেতে ঘুরে আসতে পারেন Sad-Status-Bangla.com