পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রিয় বন্ধুগণ এবার আমাদেরকে জানানো হবে, কাঁচা পেঁয়াজ সম্পর্কে। কাঁচা পেঁয়াজ রান্নায় ব্যবহার করা হয়, শাদ বাড়ানোর জন্য প্রতিটা তরকারিতে পেঁয়াজ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা প্রতিদিন কাঁচা পেঁয়াজ খেলে কি হয় কিন্তু এই বিষয়ে সবার জানা নেই। তো বন্ধুরা চলুন আমরা নিচের এই অংশে চিনে আসি পিঁয়াজের উপকারিতা কি এবং অপকারিতা কি কি।
তো বন্ধুরা চলুন জানা যাক, পেঁয়াজ সম্পর্কে। প্রতিটা রান্নায় আরো ভালো করে মজা করতে পেঁয়াজ গুরুত্ব রেখে থাকে। কিন্তু অতিরিক্ত পেঁয়াজ খাওয়ার ফলে কোন অপকারিতা রয়েছে নাকি বা কোন উপকারিতা রয়েছে নাকি চলুন সেগুলো আজ জেনে আছে। বন্ধুরা আপনারা যদি এই পোস্ট পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার আজ এসব বিষয় জানবেন।
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সকলেই ভালো ও সুস্থ আছেন। প্রিয় বন্ধুরা আমরা আজকে পেয়াজ সম্পর্কে আলোচনা করবো।পেয়াজের বিভিন্ন দিক যেমন-পেয়াজের উপকারীতা বা অপকারিতা,পেয়াজ খেলে কি হয়, ভাতের সাথে পেয়াজ খেলে কি হয়, খালি পেটে পেয়াজ খেলে কি হয় ইত্যাদি বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আলোচনা করবো।
আরো পড়ুন
আপনারা দয়া করে মনোযোগ দিয়ে পরবেন। অ্যালিয়াম গোত্রের এক ধরনের উদ্ভিদকে পেয়াজ বলা হয়। সাধারণ ভাবে পিঁয়াজ বলতে অ্যালিয়াম পিঁয়াজকে বোঝায়।এই পেয়াজ সারা বিশ্বব্যাপী চাষাবাদ করা হয়। ২০১০ সালে শ্যালট জাতের এক পেয়াজ আলাদা প্রজাতি হিসেবে পরিচিত ছিল। চীনা পিঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি পিঁয়াজের কাছাকাছি প্রজাতি।
পিঁয়াজের মতো আরো বিভিন্ন প্রজাতি বহন করে থাকে অ্যালিয়াম গোত্র।বিভিন্ন পেয়াজ খাদ্যের জন্য চাষাবাদ করা হয়ে থাকে যেমন-জাপানি বাঞ্চিং পিঁয়াজ, গাছ পিঁয়াজ, কানাডা পিঁয়াজ ইত্যাদি।মানবসভ্যতার আদিযুগ থেকেই পিঁয়াজের উৎপাদন বা ব্যবহার শুরু হয়েছে।সমস্ত পৃথিবীর প্রায় সব খানেই বিভিন্ন রান্নায় পিঁয়াজ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
সব তরকারিতে পেয়াজ ব্যাবহার করা হয়। বর্তমানে কাঁচা , জমানো, আচার, চূর্ণ, কুঁচি, ভাজা, এবং শুকনো করা পিঁয়াজ ব্যবহার করা হয়।পেঁয়াজে আছে বিভিন্ন ভিটামিন এ, সি, ই, অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি । কারো জ্বরে দেহের তাপমাত্রা বেশি থাকলে পাতলা করে কাটা পেঁয়াজ কপালে রাখলে কিছুক্ষণের মধ্যে তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়।
ভিনেগার বা সিরকাতে ডুবিয়ে আচার বানানো হয় পেয়াজ দিয়ে। এশিয়ায় খাদ্যে পিঁয়াজ একটি মৌলিক উপকরণ। এবং পিঁয়াজের কোষের আকার বেশ বড় বলে বিজ্ঞান শিক্ষায় মাইক্রোস্কোপের ব্যবহার ও কোষের গড়ন শেখাতে পিঁয়াজের কোষ ব্যবহার করা হয়।
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা সবাই পেয়াজের সাথে পরিচিত।পেয়াজ খান না এমন লোক নেই।নিম্নে পেয়াজের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জেনে নিন।
পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আমরা দৈনন্দিন কাজে রান্নায় পেয়াজ ব্যাবহার করে থাকি।বিভিন্ন ধরনের রান্নায়,বিভিন্ন ধরনের পিঠায় আমরা পেয়াজ ব্যাবহার করে থাকি।পেয়াজে রয়েছে পুষ্টিগুণ,সঙ্গে যে ফাইটোকেমিক্যাল ও আছে,তা মানবদেহের জন্য খুবই উপকারি।পেয়াজের উপকারিতা ও অপকারী দুদিক রয়েছে।আমরা এখন আলোচনা করবো পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
পেয়াজের উপকারীতা- আপনি যদি নিয়মিত পেঁয়াজ খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার রক্ত চলাচল ঠিকভাবে করবে এবং আপনার যদি হার্টের কোন ধরনের সমস্যা থাকে তা অনেকটাই কমে আসবে।
- যাদের হজমে সমস্যা রয়েছে তাঁরা প্রতিদিন একটু কাঁচা পেঁয়াজ খাবেন।কারন পেঁয়াজ খাবার হজমের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন এনজাইম বাড়াতে সাহায্য করে।এতে খাবার দ্রুত হজম হয়।
- পেঁয়াজে রয়েছে কার্মিনেটিভ, অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল, অ্যান্টিসেপ্টিক এবং অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় পদার্থ ইত্যাদি। এসব শরীরের কোথাও সংক্রমণ হয়ে থাকলে কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পারেন। এর ফলে ভালো উপকার মিলবে।
- পেঁয়াজের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে সর্দি, কাশির সমস্যা থাকে না। ঠান্ডা লাগার ফলে গলা ব্যথা, সর্দি-কাশি, জ্বর, অ্যালার্জি বা সামান্য গা ব্যথায় দারুণ কাজ করে।
- এছাড়াও দাঁতের বিভিন্ন সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পেঁয়াজ অনেক ভূমিকা রাখে। আপনি যদি কাটা পেঁয়াজ দিবে খেয়ে থাকেন তাহলে দেখবেন দাঁতের ভেতরে তো সব জীবাণু লুকিয়ে থাকে সেগুলো মরে যায়।
- পেয়াজ চুল পড়া কমানো ও চুল বৃদ্ধিতে খুবই উপকারি। পেঁয়াজের মধ্যে প্রচুর সালফার রয়েছে, যা চুল পড়া রোধ করে।
পেঁয়াজের অপকারিতা-
- অতিরিক্ত পেয়াজ খেলে মানুষের মুখের দুর্গন্ধের অন্যতম কারণ হতে পারে। কাঁচা পেঁয়াজের এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আপনার মুখ ও শ্বাসকে দীর্ঘসময় ধরে দুর্গন্ধযুক্ত করে রাখবে।
- পেঁয়াজ অ্যালার্জিযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য খাওয়াটা মোটেই নিরাপদ নয়। অ্যালার্জির অন্যতম একটি উৎস হচ্ছে পেঁয়াজ।
পেঁয়াজের কারণে যদি অ্যালার্জি হয়, তহলে পেয়াজ খেলে ত্বক এবং চোখে লালভাব, ত্বকের চুলকানি, শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়।প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা ইতিমধ্যে পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনেছেন, আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।পেয়াজের আরো বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানতে পরবর্তী পাঠে আলোচনা পড়ুন।
প্রতিদিন কাঁচা পেঁয়াজ খেলে কি হয়
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা অনেকেই কাঁচা পেয়াজ খান যেমন- পান্তা ভাতে,মুড়ির সাথে ইত্যাদি ।কিন্তু জানেন না কাঁচা পেয়াজ খেলে কি হতে পারে।আপনাদের অনেকের ধারনা নেই,কাচা পেয়াজ খেলে শরীরের কি হতে পারে। চলুন জেনে নিন প্রতিদিন কাঁচা পেঁয়াজ খেলে কি হয়?ভিটামিন সি-এর একটি চমৎকার উৎস কাঁচা পেয়াজ।
আরো পড়ুন
এই পেয়াজ আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।শরীরের ভিটামিন সি শ্বেত রক্তকণিকা তৈরিতে সহায়তা করে।আরো যেমন: শ্বেত রক্তকণিকা, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে থাকে। এ ছাড়া ও কাঁচা পেঁয়াজ খেলে ঠান্ডা লাগা এবং ফ্লুর মতো সাধারণ অসুস্থতা প্রতিরোধেও সহায়তা করে। ডায়েটরি ফাইবার কাঁচা পেয়াজে থাকে।
যা আমাদের হজম ও শরীর থেকে বর্জ্য অপসারণে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।এবং ফাইবার পুষ্টির শোষণ বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য ও হেমোরয়েডের মতো বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে।উচ্চমাত্রার অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি থাকে কাঁচা পেয়াজে।যা আমাদের ত্বককে ভালো রাখতে সহায়তা করে। কাঁচা পেঁয়াজ খেলে বলিরেখা, বয়সের দাগ সহ অন্যান্য দাগ কমে যায়।
যার ফলে ত্বক থাকে সুন্দর ও উজ্জ্বল।তবে অতিরিক্ত পেয়াজ খাওয়া উচিত নয়। এতে ফাইবার পরিমাণ বেশি থাকে, যার কারনে কেউ কেউ ভালোভাবে হজম করতে পারে না। তাদের এমন অবস্থায় অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে।আপনাদের কোনো কারণে পেট সংক্রান্ত সমস্যা থেকে যায় তাহলে পেঁয়াজ খাওয়া এড়িয়ে চলুন। কাঁচা পেঁয়াজের কারণে হজমের সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
অতিরিক্ত কাঁচা পেঁয়াজ খেলে মুখে দুর্গন্ধ হয়। তাও কাঁচা পেঁয়াজ পরিমিত পরিমাণে খেলেও খাওয়ার পর পর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।প্রচুর পরিমাণে কাঁচা পেঁয়াজ খেলে অনেক সময় বুকে জ্বালাপোড়া হতে পারে। এতে অম্বলের সমস্যা তৈরি হতে পারে।প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা জানলেন প্রতিদিন কাঁচা পেঁয়াজ খেলে কি হয় সে সম্পর্কে।
আপনারা পুরো আলোচনাটি মনোযোগ দিয়ে পরবেন তবেই কাঁচা পেয়াজ সম্পর্কে ধারনা পাবেন আশা করি আপনারা প্রতিদিন কাঁচা পেয়াজ খাওয়া থেকে দূরে থাকবেন। এতে শরীর সুস্থ থাকবে। আরো জানতে পরবর্তী পাঠে আলোচনা পড়ুন।
ভাতের সাথে কাঁচা পেঁয়াজ খেলে কি হয়
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আদিম যুগ থেকে মানুষ ভাতের সাথে কাঁচা পেয়াজ ব্যাবহার করে আসছে।আদিম সভ্যতা ও বলা যায়। এখনো অনেকেই ভাতের সাথে কাঁচা পেয়াজ মিশিয়ে খান।তবে অনেকে জানেন না ভাতের সাথে কাঁচা পেঁয়াজ খেলে কি হয়? এ সম্পর্কে আজকে আলোচনা করবো,যারা জানেন না তারা এ পাঠের মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন। চলুন শুরু করা যাক।
কাঁচা পেঁয়াজ খেলে খাবারের স্বাদ বেড়ে যায়। পেঁয়াজে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণও। ক্যালসিয়াম, ফসফরাসের মতন গুন রয়েছে কাঁচা পেয়াজে। পেয়াজ আমাদের শরীরের অনেক কাজে লাগে। যদি আপনারা রোজ কাঁচা পিঁয়াজ খান তাহলে আপনার বড় কোনও রোগ ছুঁতে পারবে না।পেঁয়াজের মধ্যে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে থাকে।
তাই ভাতের সাথে কাঁচা পেয়াজ খেতে পারেন। এছাড়া ও কাঁচা পেয়াজ থায়োসালফিনেট রক্তের মধ্যে জলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাতে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায় সেজন্য ভাতের সাথে কাঁচা পেয়াজ মিশিয়ে খাওয়া উপকারী। তবে কাঁচা পেঁয়াজে রয়েছে সালফারের প্রাচুর্য। তাই পেয়াজে একটা ঝাঁঝালো গন্ধ রয়েছে।
অত্যধিক কাঁচা পেঁয়াজ খেলে মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। শ্বাস, প্রশ্বাস নেওয়ার সময় গন্ধটা আরও বেশি করে। তাই বেশি কাঁচা পেয়াজ খাবেন না।মাঝে মাঝে কাঁচা পেয়াজ ভাতের সাথে খেতে পারেন।আরো বলা যায় যে,পেঁয়াজের রয়েছে অ্যান্টিকোয়াগুলেন্ট এফেক্ট। ফলে নিয়মিত ভাতের সাথে এই ভেষজ খেলে হার্টের রোগের ফাঁদ থেকে দূরে থাকা যায়।
তবে পেঁয়াজের এই গুণের কারণেই কিছু কিছু ওষুধ এর সঙ্গে সরাসরি বিক্রিয়া করে যা কিনা দেহের জন্য ক্ষতি করে থাকে।প্রিয় পাঠক বন্ধুরা ভাতের সাথে কাঁচা পেঁয়াজ খেলে কি হয় তা সম্পর্কে জানলেন।আশা করি আমাদের আলোচনা আপনাদের ভালো লেগেছে এবং সঠিক তথ্য পাবেন। আমাদের পরবর্তী পাঠের আলোচনা মনোযোগ দিয়ে পরবেন।
খালি পেটে পেঁয়াজ খেলে কি হয়
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা অনেকেই খালি পেটে পেয়াজ খেয়ে থাকেন।অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন খালি পেটে পেয়াজ খেলে কি হতে পারে? আজকে আমরা আলোচনা করবো খালি পেটে পেঁয়াজ খেলে কি হয় সে সম্পর্কে। আপনারা মনোযোগ দিয়ে পরবেন। পেয়াজ বিভিন্ন স্যালাড, স্যান্ডউইচ, ভাজাভুজি, সবরকমের রান্নায় পেঁয়াজ যেন অপরিহার্য।
আরো পড়ুন
কিন্তু কেবল স্বাদবৃদ্ধির জন্য নয়, একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে পেয়াজে।এই পেঁয়াজ সারা বিশ্বে একটি উদ্ভিজ্জ এবং ঔষধি গাছ হিসাবে ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়।কাঁচা পেঁয়াজ হলো খাদ্যতালিকাগত ফ্ল্যাভোনয়েড এবং অ্যালকেনাইল সিস্টাইন সালফোক্সাইড-এর ভাণ্ডার। কাঁচাপেঁয়াজ কে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিথ্রোম্বোটিক, অ্যান্টিপ্লেটলেট।
এবং হাঁপানির ক্ষেত্রেও উপকারী বলে মনে করা হয়।আপনার যদি ঠান্ডা লেগে কাশি শুরু হয়, তাহলে চটজলদি খালি পেটে পেঁয়াজের জল খেতে পারেন। কাশির সিরাপের মতো কাজ করে কাঁচা পেয়াজ । যদি গন্ধ লাগে, তাহলে তাতে অল্প মধু দিয়ে খেতে পারবেন। কয়েকদিনের মধ্যে শরীরের সুস্থ অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হতে পারবেন। যাঁদের গ্যাসট্রিক সিনড্রোম ও কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে।
তাঁদের জন্য এই উপকারী জল অত্যন্ত উপকারী।তাই বলা যায় যে, বিভিন্ন অসুখ নিরাময়ে কাঁচা পেয়াজ খালি পেটে খেলে উপকার পাবেন। প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আশা করি আপনারাখালি পেটে পেঁয়াজ খেলে কি হয় সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।আশা করি আপনারা আমাদের মাধ্যমে সঠিক তথ্য পাবেন।
পেয়াজ সম্পর্কে আরো কিছু দিক সম্পর্কে আলোচনা করবো।নিম্নে তা আপনারা মনোযোগ দিয়ে পরবেন। আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে।
পেঁয়াজ খেলে কি গ্যাস হয়
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা পেয়াজ সকলের পরিচয় একটি খাদ্য।প্রতিদিন আমরা সকল খাবারের সাথে খেয়ে থাকি আবার অনেকে কাঁচা পেয়াজ খেয়ে থাকেন। পেয়াজ আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে থাকে।আপনারা অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন পেঁয়াজ খেলে কি গ্যাস হয়? এ সম্পর্কে আজকে আমরা আলোচনা করবো।আপনারা মনোযোগ দিয়ে পরবেন।
মানুষের পাকস্থলি বেশিরভাগ সুগার হজম করতে পারে না, যা অবশ্যই অন্ত্রে চলে আসে- অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া একটি প্রক্রিয়ায় এসব সুগারকে ভাঙে থাকে, যার ফলে গ্যাস উৎপন্ন হয় থাকে। কাঁচা পেঁয়াজে প্রকৃতিগতভাবে ফ্রুকটোজ রয়েছে, যা কিছু লোকের ক্ষেত্রে আন্ত্রিক গ্যাসের উৎস হতে পারে। গ্যাসের লক্ষণ হিসেবে পেট ফেঁপে যেতে পারে, পেটে অস্বস্তি হতে পারে।
ঘনঘন বাতকর্ম হতে পারে ও মুখ থেকে দুর্গন্ধময় শ্বাস বের হতে পারে ইত্যাদি। পাকস্থলির অ্যাসিড খাদ্যনালিতে ওঠে আসে ও বুকে জ্বালাপোড়ার অনুভূতি সৃষ্টি করে। একটি গবেষণা বলছে যে, বুকজ্বালা নেই এমন লোকেরা পেঁয়াজ খেলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়, কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী বুকজ্বালা বা গ্যাস্ট্রিক রিফ্লাক্স ডিজিজের লোকেরা পেঁয়াজ খেলে উপসর্গের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
এছাড়া পেঁয়াজ খাওয়ার পর গর্ভবতী নারীদের বুকে জ্বালাপোড়া অনুভব হয়। তাই যারা পেঁয়াজ খাওয়ার পর বুকে অস্বস্তি অনুভব করেন তাদের পেঁয়াজের ব্যবহার সীমিত করা উচিত।প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আশা করি আপনারা পেঁয়াজ খেলে কি গ্যাস হয় সে সম্পর্কে ধারনা পেয়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন।আশা করি আপনাদের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগবে।আমাদের পরবর্তী আলোচনাটি পড়ুন।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা ইতিমধ্যে পেয়াজের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।আশা করি আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগবে।পেয়াজ আমাদের দৈনন্দিন কাজে ব্যাবহার করে থাকি।পেঁয়াজ খাবার হজমের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন এনজাইম বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। যার ফলে দ্রুত খাবার হজম হয়। পেঁয়াজের রস খেলে যাঁদের দৃষ্টির সমস্যা আছে, তাঁদের সেরে যাবে।
আরো পড়ুন
পেঁয়াজের রয়েছে বেশ কিছু স্বাস্থ্যগুণও। সব কিছু মিলিয়ে বাংলাদেশ তো বটেই বিশ্বের প্রায় সব দেশেই চাহিদা রয়েছে পেঁয়াজের।বাংলাদেশে পেয়াজের প্রচুর পরিমাণ চাহিদা রয়েছে। রান্নায় পেঁয়াজের সব চেয়ে বড় কাজ হচ্ছে, রান্নার অন্যান্য উপকরণের স্বাদ অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয়।পেয়াজ বেশিদিন থাকলে পচন ধরে।তাই পেয়াজ সংরক্ষণ করে রাখার নিয়ম রয়েছে।
পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে হলে অবশ্যই শুষ্ক ও পরিষ্কার জায়গায় রাখতে হবে। আলো-বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় রাখতে হবে পেঁয়াজ। এতে পেঁয়াজ অনেক দিন সজীব ও ভালো থাকবে।পেঁয়াজ ঝুড়িতে সংরক্ষণ করা ভালো। না হলে পেঁয়াজের সতেজ ভাব কমে যায় এবং অন্যান্য সবজির সঙ্গে রাখা হলে তার মানও খারাপ হয়ে যায়।
ঝুড়িতে না রাখলে জালের ব্যাগ বা বাঁশের তৈরি পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে।পেঁয়াজ অনেক দিন ভালো রাখার আরেকটি উপায় হলো তা আচার করে রেখে দেয়া।আস্ত, খোসাসহ পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে চাইলে তা ভুলেও রেফ্রিজারেটরে রাখা যাবে না। এতে দ্রুত পচন ধরে। পেঁয়াজ অনেক দিন সতেজ রাখতে শুষ্ক আবহাওয়ায় সংরক্ষণ করুন।
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আশা করি আপনারা পেয়াজ সম্পর্কে বিভিন্ন দিক জানতে পেরেছেন।যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই জানাবেন।এবং অন্যদের জানার সুযোগ করে দেবেন। আমাদের পরবর্তী কন্টেন্ট পেতে আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ।
পোষ্ট পড়ে আমাদেরকে আপনার মূল্যবান মন্তব্য লিখুন। আপনাদের প্রতিটি কমেন্ট রিভিও করা হয়
comment url