শীতে শিশুর যত্ন - শীতের শিশুর ঠান্ডা জনিত ৫টি সমস্যা

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা কি চিন্তিত রয়েছেন,শীতে শিশুর যত্ন নিয়ে। শীতের সময় বেশিরভাগ মা তার সন্তান নিয়ে চিন্তিত থাকে। শীতের শিশুর ঠান্ডা জনিত সমস্যা সে কি করবে,এসব নিয়ে অনলাইনে বিভিন্ন জায়গায় সার্চ দিয়ে থাকে। তাহলে আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে অবশ্যই সে জানতে পারবে যে শীতকালে শিশুদের যত্ন কিভাবে নিতে হয়।
শীতে শিশুর যত্ন
বন্ধুরা, আজকের এই পোস্ট আপনাকে শীতের সময় আপনার ছোট্ট সোনামনির খাবারের তালিকা কি কি খাওয়ানো উচিত এছাড়াও কিভাবে যত্ন নেওয়া প্রয়োজন তা বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেয়া হবে। আর এইগুলো জানার মাধ্যমে আপনি আপনার ছোট্ট সোনামনির প্রতি আরো সতর্ক হয়ে যাবেন।

ভূমিকা

প্রিয় বন্ধুগণ শীতের সময় আপনি শীতে শিশুর যত্ন কিভাবে নিতে পারবেন এ বিষয়টি আলোচনা করব। শীতের সময় ছোট্ট বাচ্চাদের রোদে রাখতে হয়। কারণ রোদে রয়েছে ভিটামিন ডি যা একটি শিশুর জন্য খুব প্রয়োজনীয় উপাদান। কিন্তু ঠিক কোন সময় রোদে রাখতে হয়। এছাড়াও শীতের সময় অনেক বাচ্চা রয়েছে যাদের। ঘনঘন ঠান্ডা লেগে যায়। এখানে লাগার কারণ কি। এবং শীতের সময় অনেক ধরনের সবজি বাজারে দেখা যায়। এ সময় অনেক ধরনের ফলমূল ও বাজারে দেখা যায়। 
আরো পড়ুন 
তো এই সময় কি খাবার শিশুর জন্য ভালো হবে। এছাড়াও এই শীতের সময় অনেক মা রয়েছে যারা প্রথমবার মা হয়েছেন তারা বুঝে উঠতে পারেন না কি হবে যত্ন নিয়ে থাকবেন। এছাড়াও এই ঠান্ডার সময় অনেক ধরনের রোগ সৃষ্টি হয়। এবং ছোট্ট শিশুরা এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়। শীতের সময় বেশিরভাগ ভাইরাস জনিত রোগ শিশুদের মধ্যে দেখা যায়। এই শীতে শিশুদের বিশেষ করে সর্দি কাশি ডায়রিয়া এসব আক্রান্ত হয়ে যায়। 

এর সব রোগ থেকে কিভাবে বিরত থাকা যায় এবং এসব রোগ কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়। এইসব প্রশ্নের উত্তর আপনাদের জানিয়ে দেয়া হবে এই পোষ্টের মাধ্যমে। তো প্রিয় বন্ধুরা আপনাদের উদ্দেশ্যে বলা যায় আপনি যদি আপনার শিশুর ব্যাপারে এসব বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করে থাকেন। তাহলে সেসব চিন্তা ভাবনা বাদ দিন, কারণ আপনি যেহেতু এই ওয়েবসাইটে চলে এসেছেন। 

এখানে আপনাকে শীতে আপনার বাচ্চাকে কিভাবে রাখতে হবে এবং কিভাবে খাবার খাওয়াতে হবে। এসব কিছু সহজভাবে বুঝিয়ে দেয়া হবে। তাই চিন্তাভাবনা করে চলুন নিচে গিয়ে দেখা যাক ঠিক কি রয়েছে পোস্টে।

শীতে শিশুর যত্ন

প্রিয় বন্ধুগণ শীতে সবসময় বাচ্চাদের যত নিতে হয়, তো আপনি কিভাবে শীতে শিশুর যত্ন নিতে পারবেন তা জানিয়ে দেয়া হবে এ পোষ্টের মাধ্যমে। বাবা মারা শীতের সময় তাদের ছোট্ট শিশুকে নিয়ে অনেক চিন্তায় থাকেন এবং অনেকেই ভাবে। শীতকালে শিশুর যত্ন কিভাবে নেওয়া যায়। শীতকালে শিশুর যত্ন একটি প্রধান ও নিরাপদ শর্ত হচ্ছে, শিশুকে গরম কাপড় পড়িয়ে রাখা। কিন্তু শিশুদেরকে অস্বস্তিকর গরম কাপড় পরানো থেকে বিরত থাকবেন। 

বড়দের তুলনায় শিশুদের ঠান্ডা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অনেক কম। তাই শীত কম না বেশি বুঝে বাচ্চাকে কাপড় পরিধান করাতে হবে। আরেকটি হচ্ছে ড্রাইপার। শীতের সময় শিশুদেরকে ঘনঘন ড্রাইপার চেঞ্জ করাতে হবে। কারণ ডাইপার বেঁচে গেলে শিশুদের ঠান্ডা লেগে যায় এবং ঠান্ডা জনিত রোগ সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য বাজার থেকে দেখেশুনে শোষণ ক্ষমতা বেশি এরকম ড্রাইপার কিনতে হবে। এবং প্রতি ছয় ঘণ্টা পরপর একটি করে ড্রাইপার পরিবর্তন করে দিতে হবে। 

এ সময় শিশুদের ডায়রিয়া রোগ বেশি হয়ে থাকে, এ সময়ে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা বেশি করবেন। এবং বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলবেন। যদি বাচ্চার ডায়রিয়া হয়ে যায় তাহলে বাচ্চাকে তার স্বাভাবিক হওয়া থেকে বঞ্চিত করবেন না। এবং দুই থেকে তিন ঘন্টা পর পর বাচ্চাকে তার মায়ের বুকে দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। এবং ডায়রিয়া বেশি হয়ে গেলে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। শীতের সময় অনেক বাবা মা বাচ্চাকে গোসল করতে চান না।

ঠান্ডা লেগে যাবে এই ভয় করে থাকেন। তো তাদের ক্ষেত্রে বলা যায় যে গোসল না করালে এর উল্টো ঘটনা তো ঘটতে পারে। এজন্য বাচ্চাকে প্রতিদিন হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করানোর চেষ্টা করবেন। এবং গোসলের পরে যত দ্রুত সম্ভব মাথা এবং বুকের পানি তাড়াতাড়ি মুছে দিবেন। এবং বাচ্চাকে শীতের সময় ভিটামিন সি যুক্ত খাবার অর্থাৎ লেবু, মাল্টা, কমলালেবু এসব খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। এছাড়াও আপনার শিশুটি যদি দুই বছরের ওপর হয়ে থাকে ।

তাহলে তাকে পাতলা জাতীয় খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলবেন। অর্থাৎ তাকে ডিমের কুসুম খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। এছাড়াও খিচুড়ি সুপ খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। গোসলের পর আপনার শিশুটাকে বেবি লোশন অথবা অলিভ অয়েল ব্যবহার করানোর চেষ্টা করবেন। এছাড় াও শিশুকে গোসলের সময় গ্লিসারিনযুক্ত সাবান দিয়ে গোসল করার চেষ্টা করে থাকবেন। শীতের সময় আপনি এইভাবে আপনার বাচ্চার যত্ন নিতে পারেন।

শীতের শিশুর ঠান্ডা জনিত সমস্যা

প্রিয় বন্ধুরা আজ আপনাদেরকে জানানো হবে,শীতের শিশুর ঠান্ডা জনিত সমস্যা । শীতের সময় অনেক বাচ্চার হয়েছে যাদের,শীতের শিশুর ঠান্ডা জনিত সমস্যা হয়ে থাকে। তাই আজ আপনাদের জানাবো এসব সমস্যা গুলো কি কি। শীতকালে আবহাওয়া পরিবর্তনে জন্য শিশুদের এসব রোগ হয়ে থাকে। এ সময় শিশুদের ঠান্ডা কাশি জ্বর ডায়রিয়া ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এ সময় একটি শিশু পাতলা পায়খানা ও বেশি বেশি করে বমি করে থাকে। 

এক্ষেত্রে আপনি আপনার শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যালাইন এবং পাতলা তরল জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে। অনেক কিছুই রয়েছে যারা স্যালাইন খেতে চায় না ‌ সেজন্য বারবার করে তাদের স্যালাইন খাওয়াতে হবে। অনেকে এমন করেন যে শিশুর ডায়রিয়া হলে দুধ খাওয়া বন্ধ রাখে, আবার কিছু কিছু খাবার বারন রাখে। কিন্তু এগুলো ভুল, এ সময় শিশুকে স্বাভাবিক খাবার খাওয়াতে হবে। আজকাল একজন শিশুকে সবসময় তার বাবা-মা ড্রাইপার পরিয়ে রাখে। 

এইজন্য তারা বুঝতে পারে না যে শিশুর প্রস্রাব ঠিক মতন হচ্ছে কিনা। কারণ , ডায়রিয়া হলে একজন শিশুর প্রস্রাব ঠিক মত হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এজন্য ডায়রিয়া হলে ড্রাইপার এর পরিবর্তনে সুতীর পোশাক পরিয়ে রাখাই ভালো। কারণ সুতির পোশাক করে রাখলে বোঝা যায় শিশুর প্রস্রাব ঠিকমতো হচ্ছে কিনা। ডায়রিয়া হলে বাচ্চার যদি সঠিক মতো প্রস্রাব না হয়ে থাকে তাহলে এটি পানি শূন্যতা লক্ষণ দেখা দেয়। এ সময় ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। 
আরো পড়ুন 
এছাড়াও শীতের সময় সর্দি কাশি প্রকোপ বেড়ে যায়। দিন দিন অতিরিক্ত বায়ু দূষণ হওয়ার কারণে এ সমস্যাটি বেড়েই চলছে। বায়ু দূষণ হওয়ার কারণে ফুসফুসের বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হয়েছে ।এবং একটু ঠান্ডা লেগে গেলেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয়ে যাচ্ছে। শ্বাসকষ্ট এবং কাশি অতিরক্ত বেড়ে গেলে ডাক্তারের পরামর্শ না হওয়া প্রয়োজন। এমন সমাজে ডাক্তার বলে থাকেন হাসপাতালে ভর্তি করাতে তাহলে ভর্তি করাতে হবে। অনেক অভিভাবক রয়েছেন যারা হাসপাতালে ভর্তি না করে বলেন।

যে আর কয়েকটি দিন দেখি। কিন্তু এগুলো ঠিক না, এতে আপনার বাচ্চার বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হতে পারে। সর্দি হলে বাচ্চারা খাবার খেতে চায় না। এমন সময় বাচ্চাদের স্যালাইন পানির মাধ্যমে নাক পরিষ্কার করাতে হবে। এবং অল্প অল্প করে বাচ্চাকে খাওয়াতে হবে। শীতে এগুলো সমস্যা হয়ে থাকে শিশুদের জন্য।

বাচ্চাদের ঘনঘন ঠান্ডা লাগার কারণ কি

প্রিয় বন্ধুগণ এবার আপনাদেরকে এই পোস্টে জানানো হবে,বাচ্চাদের ঘনঘন ঠান্ডা লাগার কারণ কি। ঠান্ডার সময় ঠান্ডা জনিত রোগ বেশি হয়। ঠান্ডার সময় ঠান্ডা লাগবে এটা স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু,বাচ্চাদের ঘনঘন ঠান্ডা লাগার কারণ কি। বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বড়দের তুলনায় অনেক কম থাকে। ঠান্ডার সময় বাচ্চাদের প্রতি একটু বেশি সতর্ক হতে হয়। তাদেরকে নিয়ে সবসময় সাবধানতায় থাকতে হয়। বাচ্চার ঠান্ডা লাগার একটি কারণ হলো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল থাকা। 

অর্থাৎ বাচ্চাকে ঠান্ডার সময় গরম অনুভব হবে এরকম পোশাক পরিধান করাতে হবে। এছাড়াও বাচ্চার খাদ্যাভ্যাস ঠিক রাখতে হবে। এছাড়াও বাচ্চাদের থানার আগার জন্য দায়ী ভাইরাস। ২০০ টি ভাইরাসের মধ্যে যেকোনো একটি ভাইরাস যদি, উন্মক্ত হয়ে যেতে পারে তাহলে বাচ্চার ঠান্ডা লাগা অথবা ঘন ঘন ঠান্ডা লাগতে শুরু করে। এ সময় বাচ্চাদের ওষুধ খাওয়া প্রয়োজন। এসময় বাচ্চাকে ডাক্তার এর কাছে নিয়ে যেতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বাচ্চাকে ওষুধ খাওয়াতে হবে। 

ঠান্ডা লাগার জন্য সবচেয়ে বড় দায়ী রাইনো ভাইরাস। এ ভাইরাসটি শিশুদের দেহে নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধ করে থাকে। সর্দি কাশি এসব ভাইরাস থেকেই সৃষ্টি হয়ে থাকে। বাচ্চাকে অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগলে নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে যেতে পারে। সেজন্য বাচ্চাকে ঠান্ডা লাগছে এইটা যদি আপনি বুঝতে পারেন তাহলে যত দ্রুত সম্ভব বাচ্চাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন। তাহলে বন্ধুরা, আজকে পোস্টে আপনারা জানলেন কিভাবে বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগতে পারে।
আরো পড়ুন 
এছাড়াও আজকাল অধিকাংশ শিশুদেরকে ড্রাইপার পড়ানো হয়ে থাকে। ঠান্ডা সময় ঘন ঘন ড্রাইপার পরিবর্তন করানো উচিত। কারণ , অনেকক্ষণ ড্রাইভার পড়ানো থাকলে ড্রাইভার ভেজে যায়,এবং এ থেকে বাঁচাতে ঠান্ডা লেগে যায়।

নবজাতককে রোদে রাখার নিয়ম

প্রিয় বন্ধুগণ আছে এই পোস্টে আপনাদেরকে অতি সহজ ভাবে জানানো হবে,নবজাতককে রোদে রাখার নিয়ম । প্রিয় বন্ধুগণ আমাদের দেশে যেসব নবজাতক জন্ম গ্রহণ করে থাকে তাদের মধ্যে ৬০ ভাগ নবজাতক এর জন্ডিসের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। নবজাতককে বিভিন্ন চিকিৎসা এর মাধ্যমে সারিয়ে তোলা যায়। কিন্তু, জন্ডিস দূর করার জন্য একটি দুর্দান্ত চিকিৎসা হলো সূর্যের আলো। সূর্যের আলোতে রয়েছে ভিটামিন ডি, যা হার শক্ত রাখতে ভূমিকা পালন করে থাকে। 

নবজাতককে রোদে রাখার নিয়ম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রোদ নবজাতকের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। এমন অনেক নবজাতক রয়েছেন যারা জন্মের পরপরই জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হয়ে গিয়েছেন। জন্ডিস তেমন ক্ষতিকর কোন রোগ না, যদি সে তার সীমার মধ্যে থাকে। জন্ডিস হলে সকালের মিষ্টি রোদ অনেক উপকারী হয়ে থাকে। কাঁচের মধ্যে দিয়ে যে রোদের আলো আমাদের ঘরে প্রবেশ করে সে আলো কিন্তু জন্ডিস কমাতে সাহায্য করে থাকে। 

সকাল আটটা থেকে দশটার মধ্যে যে রোদ উঠে সে রোদ এ বাচ্চাকে রাখতে পারেন। দুপুরের রোদ অনেক কড়া হয়ে থাকে ‌। এই রুটি বাচ্চার ক্ষতি করতে পারে। এছাড়াও সূর্যের আলোতে রয়েছে ভিটামিন ডি। কাঁচের ভেতর দিয়ে আমাদের ঘরে যে আলো প্রবেশ করে থাকে সে আলোয় ভিটামিন ডি থাকে না। এজন্য একজনকে নবজাতক কে বাইরের রোদ গায়ে লাগাতে হবে। 
আরো পড়ুন 
নবজাতককে এক থেকে দেড় ঘন্টা সকালের রোদ গায়ে লাগাতে হয়। রোদে থাকলে ভিটামিন ডি হার বৃদ্ধির জন্য কাজ করে থাকে। ভিটামিন ডি হার বৃদ্ধির জন্য অনেক উপকারী। এবং যেসব বাচ্চারা ভিটামিন ডি অর্থাৎ সূর্যের আলো পাচ্ছে নাতাদের কে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়াতে হবে।

শীতে শিশুর খাবার

প্রিয় বন্ধুগণ শীতে শিশুর খাবার একটু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই কম হয়ে থাকে। এমন সময় , শীতের শিশুর খাবার এর প্রতি সচেতন হতে হবে। শীতে বাচ্চাদের যেসব খাবার প্রয়োজন শেষে খাবার হল:
গাজর: গাজরের রয়েছে ভিটামিন এ যা চোখের জ্যোতি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও ভিটামিন এ রক্তে শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে থাকে। এজন্য শীতের সময় আপনার বাচ্চাকে গাছের খাওয়ার অভ্রতে পারেন।
  • পালং শাক: শীতের সময় অবশ্যই আপনার বাচ্চাকে পালংশাক খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলবেন। পালং শাক কে অনেকেই সুপার ফুড থাকে। কারণ পালং শাকে রয়েছে, ভিটামিন সি, কে ,ক্যালসিয়াম ,ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস এসব প্রয়োজন এর সব উপাদান। ছোট্ট বাচ্চার দেহে অনেক ধরনের ঘাটতি থাকে। এসব ঘাটতি পূরণের জন্য পালং শাক খুবই উপকারী।
  • ব্রকলি: শীতে আপনার সন্তানকে ব্রকলি খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। কারণ রুপালি হচ্ছে ভিটামিন এবং খনিজের ভান্ডার। এছাড়াও ব্রকলের অনেক গুণ রয়েছে। শীতের সময় আপনি যতগুলা ইচ্ছা ততগুলা আপনি আপনার সন্তানকে ব্রকলি খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন।
  • কমলালেবু: শীতে ছোট্ট শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে কমলালেবু একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। শীতের বাজারে কমলালেবু এর মেলা বসে যায়। প্রতিদিন আপনি আপনার শিশুকে কমলা লেবু খাওয়ানোর চেষ্টা করে থাকবেন। কারণ কমলা লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি যা আপনার শিশুর শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকবে।
  • লেটুস শাক: লেটুস শাক যা পুষ্টি উপাদানের ভান্ডার হিসেবে সবার কাছেই পরিচিত। এবং এসবকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের আতর ঘর বলে হয়ে থাকে‌। শীতে আপনি লেটুস শাক আমার বা তাকে নিয়মিত খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। এতে আপনার শিশু সুস্থ একটি জীবন যাপন করতে পারবে।
প্রিয় বন্ধুরা, শীতে শিশুর খাবার এসব খাদ্য আপনি আপনার বাচ্চাকে শীতের সময় খাওয়ানোর চেষ্টা করে থাকবেন।

শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা, শীত একটি ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া জনিত সময়। শীতের সময় জীবাণু এর প্রকার বেড়ে যায়। বড়দের তুলনায় ছোট্ট শিশুরা এ রোগের বেশী আক্রান্ত হয়ে থাকেন। কিন্তু এই শীতে নানান রঙ্গের ফলমূল ও শাক সবজি পাওয়া যায়। শীতের সময় বাচ্চাদের একাধিক যত্ন নিতে হয়। বাচ্চাকে রোদে রাখতে হয় নিয়ম মেনে। এছাড়াও বাচ্চাকে যেন ঠান্ডা না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হয়। এছাড়াও বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগলে কি কি সমস্যা হচ্ছে সেদিকে খেয়াল রাখতে হয়। 

এবং বাচ্চাদেরকে বিশেষভাবে যত্ন নিতে হয়। এসব সবকিছু জানিয়ে দেয়া হয়েছে এই পোস্টে। এ পোস্টে আপনারা এসব প্রশ্নের উত্তর খুব সহজভাবে পেয়েছেন। এসব তথ্য আপনার বাচ্চার জন্য খুব উপকারী হয়ে থাকবে। একজন মা তার বাচ্চার জন্য সব সময় এসব পরামর্শ চেয়ে থাকেন। তো বন্ধুরা আপনাদের যদি এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে যাবেন। এবং এইভাবে এই ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকবেন, ধন্যবাদ।।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পোষ্ট পড়ে আমাদেরকে আপনার মূল্যবান মন্তব্য লিখুন। আপনাদের প্রতিটি কমেন্ট রিভিও করা হয়

comment url