কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা বিস্তারিত জানুন
কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা ও এর বিস্তারিত বিষয়বস্তু নিয়ে মূলত আজকের আমাদের এই আলোচনা। এই আলোচনার সঙ্গে আরো থাকছে শুকনো কিসমিস খেলে কি হয় এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য। তাই আজকে আমাদের এই পোস্টের সাথে থাকুন এবং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন কিসমিস সম্বন্ধীয় আকর্ষণীয় তথ্য জেনে নিতে পারেন।
আপনি যদি কিসমিস সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্যই। কিসমিস এর সাথে আমরা সকলেই পরিচিত যা আঙ্গুর ফল শুকিয়ে প্রস্তুত করা হয়। কিসমিস অনেকভাবে খাওয়া যায়। অনেকে জানতে চান কিসমিস কি খালি পেটে খাওয়া যায় কিংবা শুকনো কিসমিস খেলে কি হয়। চলুন এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা কিসমিসের বিভিন্ন উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অবগত হই।
ভূমিকা
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে সরাসরি কিংবা রান্নার মাধ্যমে কিসমিস এর ব্যবহার হয়ে থাকে। কিসমিস মূলত আঙ্গুর ফল থেকে এসেছে। খ্রিস্টপূর্বাব্দ প্রায় ২০০০ এর শুরুর দিকে শুকনো আঙ্গুর এর দেখা পাওয়া যায় যা পরবর্তীতে কিসমিস হিসেবে পরিচিত হয়। কিসমিসে রয়েছে অনেক পুষ্টিকর উপাদান যা সুস্বাস্থ্য এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বেশ উপকারী। আজকের এই আলোচনার মধ্যে আমরা জানবো কিসমিসের গুনাগুন, প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয়, কিসমিস কত টাকা কেজি ২০২৪, কিসমিস খেলে কি মোটা হয়, কিসমিস খেলে কি ফর্সা হয় এবং অতিরিক্ত কিসমিস খেলে কি হয় তা সম্পর্কে।
কিসমিসের গুনাগুন
কিসমিস অনেকগুলো পুষ্টিকর উপাদানে সমৃদ্ধ। এতে রয়েছে প্রোটিন, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার, কপার, পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি ৬ এর মতো পুষ্টিকর বৈশিষ্ট্য। কিসমিসে বিদ্যমান এ সকল পুষ্টিকর উপাদান আমাদের দেহে আয়রনের অভাবজনিত কারণ দূর করার সাথে রক্ত পরিষ্কার করে এবং লাল রক্ত কণিকা বৃদ্ধির পাশাপাশি এর অন্যান্য রোগ ব্যাধি প্রতিরোধে সহায়ক। নিয়মিত কিসমিস গ্রহণের ফলে এতে থাকা ইতিবাচক গুনাগুনের কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
অম্লতা ও কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও রেহাই পাওয়া যায় এবং এটি শরীরে কলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে কিসমিস। এছাড়াও কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা অনেক। কিসমিস রোগ প্রতিরোধক গুনাগুন ছাড়াও এর অ্যান্টঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রোগ মুক্তিতে সহায়তা করে। কিসমিসের সাহায্যে পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা, ত্বকের নানারকম এলার্জি, ওজন বৃদ্ধি জনিত সমস্যা ইত্যাদি প্রতিরোধ হয়।
প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয়
প্রতিদিন কিসমিস খেলে এটি আমাদের শরীরে চাঞ্চল্যকর পরিবর্তন নিয়ে আসে। কিসমিসের পুষ্টিগুণ ক্ষমতা শরীরের দুর্বলতা দূর করে। এতে থাকা শর্করা, গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ জাতীয় উপাদান তাৎক্ষণিক এনার্জি দিয়ে দুর্বলতা দূর করতে পারে। এছাড়া শিশুদের ক্ষেত্রে নিয়মিত কিসমিস খেলে দাঁতের জন্য উপকারী ফলাফল পাওয়া যায়। কিসমিসের অলিনোলিক এসিড মুখ গহ্বরে ব্যাকটেরিয়ার উপক্রম দূর করে এবং দাঁতের জন্য সুরক্ষা প্রদান করে থাকে।
প্রতিদিন কিসমিস খেলে এটি দেহে আয়রন ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। ফাঁকা ক্যালসিয়াম ও আয়রন সমৃদ্ধ গুনাগুন দেহের হাড় মজবুত করে। ত্বকের জন্য বেশ উপকারী প্রাকৃতিক উপাদান হলো কিসমিস। এতে থাকা মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট উপাদান এবং পলিফেনলস ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান দেহের বিভিন্ন রকম ক্ষত বা এলার্জি জনিত সমস্যা থেকে ত্বককে সুরক্ষা দেয়।
কিসমিসে থাকা ফাইবার মানবদেহে কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা ধীরে ধীরে নিরাময় করতে পারে। কিসমিস খাওয়ার ফলে শরীরে লাল রক্ত কণিকার পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ হয় এবং রক্তশূন্যতার মতো সমস্যা থেকে প্রতিকারের সম্ভাবনা দেখা যায়। কিসমিসে থাকা লৌহ উপাদান এক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা রাখে যার ফলে রক্তশূন্যতা দূর হওয়ার সাথেই শারীরিক দুর্বলতা এবং অবসাদের মতো সমস্যাও বিলীন হয়।
এছাড়া কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা হিসেবে অম্লতা এবং অনিদ্রার মত সমস্যা দূর হতে দেখা গিয়েছে। সুস্থভাবে ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রেও প্রতিদিন পরিমিত কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। তবে কিসমিসের এত গুনাগুন এবং উপকারিতা সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে তা পরিমিত আকারে সেবনের উপর। সুতরাং প্রতিদিন কিসমিস খেলে অবশ্যই পরিমিত আকারে খেতে হবে অন্যথায় এর উপকারের সাথে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো দৃশ্যমান হবে।
কিসমিস কত টাকা কেজি ২০২৪
বর্তমান বাজারে কিসমিস সহ অন্যান্য দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি লক্ষণীয় হচ্ছে। চলছে ঈদের আমেজ এবং এই সময়ে গ্রাহকের চাহিদার বিষয়টি ক্রেতারা পুজিতে পরিবর্তিত করে নিয়েছেন যার ফলে কিসমিস চিনি ও বাদাম জাতীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলছে। এসকল পণ্যের ক্ষেত্রে কেজিতে প্রায় ১০ টাকা করে বেড়েছে। একইভাবে কিসমিস এর দাম প্রতি ১০০ গ্রামে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৬৫ টাকা হয়েছে। অর্থাৎ বর্তমান সময়ের বাজার দর এর হিসেবে চলতি সময়ে প্রতি কেজি কিসমিস ৬৫০ টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে।
শুকনো কিসমিস খেলে কি হয়
আঙ্গুর ফল যখন শুকিয়ে যায় তখন তার পরিণত হওয়া সেই শুকনো অবস্থাকে কিসমিস বলে। আঙ্গুর ফলকে প্রাকৃতিকভাবে তাপ দিয়ে কিংবা যান্ত্রিকভাবে তাপ প্রদান করার মাধ্যমে কিসমিস প্রস্তুত করা হয়। প্রতিদিন শুকনো কিসমিস খেলে এর নানাবিধ উপকারিতা পাওয়া যায়। শুকনো কিসমিস খাওয়ার ফলে সবচেয়ে অন্যতম উপকারিতা হলো দেহের দুর্বলতা দূর হওয়া এবং ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা।
এছাড়াও শুকনো কিসমিস হৃদপিন্ডের জন্য বেশ উপকারী। কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা যেমন অনেকগুলি রয়েছে তেমনি শুকনো কিসমিস খেলে দেহে দ্রুত শক্তি সঞ্চালন হয়, শরিরের রক্তশূন্যতার সমস্যা দূর হয়, হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়, শরীরের আয়রনের এবং ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর করে হাড়কে দৃঢ় করে তুলতে সাহায্য করে, ত্বকে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ভূমিকা রাখে।
ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে, অম্লতার সমস্যা, এলার্জি জনিত সমস্যা দূর করে, কোলেস্টরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে থাকে কিসমিস। এছাড়া এর অন্যান্য পুষ্টিগুণ দাঁত ও মস্তিষ্কের ক্ষেত্রে উপকারী ভূমিকা প্রদান করে। তাই শুকনো কিসমিস খেলে কি হয় তার ইতিবাচক ফলাফল পর্যবেক্ষণ করতে আপনি অবশ্যই বাড়িতে শুকনো কিসমিস খেয়ে দেখতে পারেন।
কিসমিস খেলে কি মোটা হয়
কিসমিসে থাকা অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালরি দ্রুত ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ওজন বৃদ্ধির জন্য সঠিক পরিমাণে ক্যালোরি গ্রহণ করা কিংবা দেহে ক্যালোরির উৎপাদন প্রয়োজন। আর প্রতি ১০০ গ্রাম কিসমিসে ২৯৯ ক্যালরি থাকে। যেখান থেকে মানবদেহের ওজন বৃদ্ধির জন্য দৈনন্দিন ক্যালরির চাহিদার শতকরা ১৫ ভাগ পূর্ণ হয়ে যায়। তাই প্রতিদিন কিসমিস খেলে দ্রুত মোটা হওয়া যায়।
মোটা হওয়ার জন্য সরাসরি শুকনো কিসমিস খাওয়া যেতে পারে অথবা কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা গ্রহণ করতে ভেজানো কিসমিস সকালে খালি পেটে খেয়ে এবং কিসমিস ভেজানো জল গ্রহণের মাধ্যমে শরীরের ভিতরে অম্লতা দূর করা যেতে পারে যাতে করে শরীরে এসিডিটির পরিমাণ কমে গেলে খাবার দাবারে চাহিদা বাড়বে যার ফলে দ্রুত মোটা হওয়া সম্ভব।
কিসমিস খেলে কি ফর্সা হয়
কিসমিস ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী একটি শুকনো ফল। প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে কিসমিস খাওয়ার ফলে ত্বকে নানা রকমের সমস্যা দূর হয়। কিসমিস সরাসরি শুকনো অবস্থায় না খেয়ে ভেজানো কিসমিস ত্বক ফর্সা করতে বেশি সাহায্য করে। কেবল ভেজানো কিসমিসে নয় কিসমিসের এই ভেজানো জল ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে এবং বার্ধক্যের ছাপ অপসরণে সাহায্য করে থাকে।
কিশমিস জলে ভিজিয়ে রাখলে কিসমিসে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান গুলো ভেজানো জলে চলে আসে। যাতে করে এটি ব্যাবহারের ফলে এটি ত্বকের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমায় অর্থাৎ র্যাশ, এলার্জি, ব্রণ ইত্যাদি সমস্যা থেকে ত্বককে পরিষ্কার ও প্রাণবন্ত রাখে। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ থাকার কারণে এটি আপনার ত্বকের ভিটামিনের প্রোয়োজন গুলো মিটিয়ে ত্বককে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
কিসমিসে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের বিভিন্ন রকম সমস্যা দূর করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। কিসমিস সরাসরি সেবন করা অথবা এর জল দিয়ে তৈরি বিভিন্ন রকম ফেস প্যাক কিংবা টোনার হিসেবে ব্যবহার করে ত্বক ফর্সা কিংবা ত্বকের উজ্জ্বল বর্ণ ফিরে পাওয়া সম্ভব। যা হয়তো আপনি অন্য কোন কিছু থেকে পাবেন না।
কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
খালি পেটে কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা অনেক। সেগুলি হলোঃ
দুর্বলতা প্রতিরোধঃ ভেজানো কিসমিসের ফাইবার এবং এতে থাকা বাকি পুষ্টিগুণ শরীরের ক্লান্তি দূর করে এবং শক্তি সঞ্চারণ করে থাকে।
হজম শক্তি বৃদ্ধিতেঃ ভেজানো কিসমিসে ফাইবারের মাত্রা তুলনামূলক বেশি থাকে যা সেবনের ফলে আমাদের সেবন করা খাবার দ্রুত হজম হয়। সাথে কিসমিস ভিজিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা প্রতিরোধ হয়।
রক্তস্বল্পতাঃ কিসমিসে বিদ্যমান ফলিক, এসিড ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি ১২ এবং আয়রন শরীরের রক্তের স্বল্পতা অপসারণ করে।
ওজন কমাতেঃ শুকনো কিসমিস যেভাবে ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে সেভাবেই ঠিক উল্টো ভাবে ভেজানো কিসমিস গ্রহণের ফলে এতে থাকা ফাইবার আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং দ্রুত ওজন হ্রাসে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
ত্বকের যত্নেঃ কিসমিসের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দুর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
চুল এবং মানসিক স্বাস্থ্যেঃ ভেজানো কিসমিস খেলে চুলের বৃদ্ধি ঘটে এবং মনোযোগ, স্থিরতা লাভ করে। সাথে ক্লান্তি দূর হওয়ার ফলে অবসাদগ্রস্থ মনোভাব মিটে যায়।
অতিরিক্ত কিসমিস খেলে কি হয়
আমাদের দেহে সকল কিছুই গ্রহণের একটি সীমিত মাত্রা রয়েছে যার উর্ধ্বে গেলে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যাবেই। একইভাবে কিসমিস এর ক্ষেত্রেও এটি সেবনের একটি সঠিক পরিসর রয়েছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের দেয়া তথ্য অনুসারে প্রতিদিন ৪০ গ্রাম থেকে ৫০ গ্রাম কিসমিস সেবন করা স্বাস্থ্যকর।
পরিমিত কিসমিস সেবনের ফলে এটির স্বাস্থ্যকরী উপকারিতা পাওয়া যায়। তবে এই পরিমাণ অতিক্রম হয়ে গেলে শরীরে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন অতিরিক্ত কিসমিস সেবন করলে পেট ফাঁপা কিংবা বদহজম, অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে ওজন বেড়ে যাওয়া এবং অতিরিক্ত মাত্রায় চিনি থাকার ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি উপরোক্ত আলোচনার ভিত্তিতে আপনারা কিসমিস সম্পর্কে এবং কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিশদ তথ্য জানতে পেরেছেন। আজকের আমাদের এই আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনার কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন এবং আমাদের এই পোস্টটি আপনার পরিবার, প্রিয়জন ও বন্ধুমহলে শেয়ার করার মাধ্যমে আশেপাশের মানুষদের কিসমিসের উপকারিতা সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ
পোষ্ট পড়ে আমাদেরকে আপনার মূল্যবান মন্তব্য লিখুন। আপনাদের প্রতিটি কমেন্ট রিভিও করা হয়
comment url