মাথা ব্যথা কোন রোগের লক্ষণ - মাথার পেছনে ব্যথার কারণ কি
আপনি কি জানেন মাথা ব্যথা কোন রোগের লক্ষণ? এছাড়া মাথার পেছনে ব্যথার কারণ কি? প্রতিটা মানুষের একটি সমস্যা হলো মাথা ব্যথা। আজকের এই পোস্ট থেকে ঘনঘন মাথাব্যথা হওয়ার কারণ সম্পর্কে জেনে নিন।
দৈনন্দিন জীবনের অস্বস্তির কারণ হলো মাথাব্যথা। মাথা ব্যথার ফলে অনেকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে। মাথা ব্যথার ধরন ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। যার ফলে অনেকের তীব্র মাথাব্যথায় ভুগে থাকে।
ভূমিকা
মাথা ব্যথা কোন রোগের লক্ষণ ? মাথাব্যথা মূলত মাইগ্রেনের জন্য হয়ে থাকে। মাথাব্যথা বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। মাথাব্যথা শুরু হয় মূলত ঘাড় থেকে। এছাড়াও মাইগ্রেন বা অঙ্গবিন্যাস সমস্যা জন্য হতে পারে। আর এই সকল লক্ষণের মধ্য মাথাব্যথার ধরন দেখে বোঝা যাই মাথা ব্যাথার মূল কারণ। মাথাব্যথা বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন- মাইগ্রেন হেডেক, ক্লাস্টার হেডেক, সাইনাস হেডেক, আই হেডেক ইত্যাদি। মূলত রোগীর ব্যথা ধরন দেখেই কেন মাথা ব্যাথা হচ্ছে তা সনাক্ত করা যায়।
মাথা ব্যথা কোন রোগের লক্ষণ
মাথা ব্যথার প্রধানত টেনশন ও মাইগ্রেন এই দুটি কারণে বেশি হয়ে থাকে। মাইগ্রেন মাথা ব্যাথার প্রধান কারণ। মাইগ্রেনের ব্যথা মাথার বাম পাশ থেকে শুরু হয়। এছাড়া মানসিক চাপের কারণে মাথাব্যথা হয়ে থাকে। মাথার যেকোনো এক দিক থেকে মাথাব্যথা শুরু হয় এবং পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও চোখের চারপাশ দিকে ব্যথা হতে পারে।
মাইগ্রেনঃ আপনি কিভাবে বুঝবেন মাইগ্রেনের জন্য আপনার মাথা ব্যথা করছে। মাইগ্রেন মূলত মাথা ব্যথার প্রধান একটি কারণ। মাইগ্রেনের নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা নেই। মাইগ্রেনের ব্যথা মাঝারি থেকে তীব্র আকার ধারণ করতে পারে। মাইগ্রেন হবার কারণ এখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি। সাধারণত ২৫ থেকে ৩০ ভাগ রোগীদের মাথা ব্যথা মাইগ্রেনের সমস্যা হয়ে থাকে। মাইগ্রেন রোগীদের মাথা ব্যথার ধরন অন্যান্য রোগীদের থেকে ভিন্ন হয়। মাইগ্রেন রোগীর মাথাব্যথা ৪ ঘন্টা থেকে ৭২ ঘন্টা স্থায়ী হতে পারে।
মাইগ্রেনের লক্ষণ
- মাথার এক সাইডে ব্যথা
- বমি বমি ভাব
- জ্বর
- ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া
- শব্দ বা আলো বিরক্ত লাগে
এ সকল লক্ষণগুলো ছাড়াও কিছু লক্ষণ রয়েছে যেমন- ঘেমে যাওয়া, বেশি গরম অনুভব হওয়া বা ঠান্ডা অনুভব হওয়া, পেট ব্যথা করা, বিভিন্ন বিষয়ের মনোযোগ নষ্ট হয়ে যাওয়া, ডায়রিয়া মত সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও চোখে ঝাপসা দেখা কিংবা মাথা ঘুরা এমন লক্ষণও দেখা দিতে পারে। এই লক্ষণ গুলোর মধ্যেও কোন লক্ষণ আপনি অনুভব করলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসা নিতে হবে।
মাথার পেছনে ব্যথার কারণ কি
মাথা ব্যথা হওয়ার ভিন্ন ভিন্ন কারণ রয়েছে। মাথাব্যথা মূলত হয়ে থাকে মাইগ্রেনের ব্যাধির কারণে। জীবন ধারার পরিবর্তন, বিকল্প চিকিৎসা এবং ওষুধের মাধ্যমে অস্বস্তি কমানোর যেতে পারে। মাথার পেছনে ব্যাথার কিছু কারণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
- অত্যাধিক পরিশ্রম
- অধিকক্ষণ রোদ্র লাগা
- ঠান্ডা লাগা
- কষ্ট বাধ্যতা
- পায়খানা শক্ত হওয়া
- অনেকক্ষণ রাতজাগা
- অনিয়মিত খাবার খাওয়া
- তেল জাতীয় খাবার খাওয়া
- নারীদের মাসিক ঋতুস্রাব
এছাড়া বিভিন্ন কারণে মাথার পেছনে ব্যথা হতে পারে। তবে সকল মাথাব্যথা মারাত্মক আকার ধারণ করে না। কিছু কিছু মাথা ব্যাথা সাধারণত হয়ে থাকে। আর মাথা ব্যথার ধরন দেখেই মূলত মাথা ব্যথা কেন হয়েছে তা নির্ধারণ করা যায়। এছাড়াও মাথা ব্যথার গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ রয়েছে সেগুলো জেনে নেওয়া যাক
- মাইগ্রেনঃ মাইগ্রেনের মাথাব্যথার মূলত এক সাইড থেকে শুরু হয়। সেটি হতে পারে বাম থেকে বা ডান থেকে বেশিরভাগ সময় মাইগ্রেন বাম থেকে মাথা ব্যথা শুরু হয়।
- ক্লাসটার হেডেকঃ ক্লাসটার হেডেক মাথাব্যথা অনেক তীব্র হয়ে থাকে এবং এই মাথাব্যথা দিনের মধ্যে বিভিন্ন সময় হয়ে থাকে এজন্য একে ক্লাসটার হেডেক বলা হয়। ক্লাসটার মাথা ব্যথার কারণে চোখে জলে যাওয়া অনুভূতি হতে পারে। এছাড়া চোখের পানি পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। ক্লাসটার হেডেক ব্যথা ১ সপ্তাহ থেকে ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত চলতে পারে।
- চিন্তার কারণেঃ মাথাব্যথার সবচেয়ে চেনা পরিচিত কারণ হলো চিন্তা করা। বেশি চিন্তা করার ফলে কপালে ব্যথা শুরু হয়। এবং এই ব্যথা মোটামুটি ৬ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হতে পারে। অতিরিক্ত চিন্তার ফলে ঘুমের অভাব এবং পানি কম খাওয়ার কারণ হয়ে থাকে।
- নিম্ন চাপের মাথাব্যথাঃ নিম্নচাপের ব্যথা মূলত সেরিব্রাল মেরুদন্ডের তরল চাপের জন্য হয়ে থাকে। মাথা ব্যাথার মূল কারণ হলো - স্পাইনাল ফ্লুইড লিক।
- সার্ভিকোজেনিক হেডেকঃ ঘাড়ে যে সাতটি হার আছে এবং সেই হারে জয়েন্টগুলোতে কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে সার্ভিকোজেনিক হেডিক হয়ে থাকে। এছাড়া এখানে যদি কোন ইনজুরি থাকে, কোন ইনফেকশন থাকে বা কোন ইনফ্লামেশন যদি থাকে বা টিউমার যদি থাকে তাহলে সার্ভিকোজেনিক মাথাব্যথা হতে পারে।
- অক্সিপিটাল নিউরাল জিয়াঃ অক্সিপিটাল নিউরাল জিয়া মূলত ঘাড়ের ব্যথা থেকে উৎপন্ন এবং পুরোটা ছড়িয়ে পড়ে। এবং ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয় এবং ব্যথা অনুভব হয়।
মাথার তালুতে ব্যথা কারণ
বিভিন্ন কারণে মাথার তালুতে ব্যথা হতে পারে। অতিরিক্ত ঘুম হওয়ার ফলেও মাথাব্যথা হতে পারে, এছাড়া ঘুম কম হওয়ার ফলে মাথা ব্যাথা হতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে মাথাব্যথা হতে পারে বিভিন্ন কারণে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ হলো ঘুম। এছাড়া চিনি যুক্ত খাবার যেমন চা বা কফি এই ধরনের খাবার খাওয়ার ফলে মাথাব্যথা হতে পারে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খাওয়ার ফলে ও মাথা ব্যাথা হতে পারে
- অতিরিক্ত কাজ করার ফলে মাথাব্যথা হতে পারে
- এবং দুশ্চিন্তা করার ফলে মাথা ব্যথা হতে পারে
- পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার না খাওয়ার কারণে গ্লুকোজের অভাবে মাথা ব্যাথা হতে পারে
- ইলেকট্রিক ডিভাইস বেশিক্ষণ চালানোর ফলে মাথাব্যথা হতে পারে
- মানসিকভাবে চাপে থাকলে মাথা ব্যথা হতে পারে
- নিয়মিত গোসল না করার ফলে মাথা ব্যাথা হতে পারে
মাথার তালুতে ব্যথা হলে করণীয়
মাথা মানবদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। মাথা ব্যথা সমস্যাটি প্রায় মানুষের হয়ে থাকে। যেহেতু মাথা আমাদের সেনসিটিভ জায়গায় এর জন্য অবশ্য মাথাব্যথাকে অবহেলা করা যাবে না, গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। মাথাব্যথা অনেকেই হালকা ভাবে নিয়ে থাকে। মাথা ব্যাথা হালকা থেকে কখন তীব্রতা আকার ধারণ করবে বোঝা যাবে না। এজন্য অবশ্যই মাথা ব্যাথা হলে ডাক্তারের নিকটবর্তী হতে হবে।
তবে মাথা ব্যাথার মধ্যে ৯০ ভাগ মাথাব্যথা কোনো ঝুঁকিপূর্ণ নয়। এই ৯০ ভাগ মাথা ব্যাথা একাই সেরে যায়। অনেক ধরনের মাথাব্যথা রয়েছে যেগুলো কোন ঝুঁকেপন্ন নয় কিন্তু কিছু মাথাব্যথা রয়েছে যেগুলো অনেক ঝগি পণ্য এবং মারাত্মক হয়ে থাকে। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক মাথার তালুতে ব্যথা হলে করনীয়
- ত্বকের কারণেঃ মাথা ব্যাথার আরেকটি দিক হলো তক। কারণ ত্বক যখন উস্কোপস্ক থাকে তখন খুব সহজেই মাথাতে খুশকি একজিমা এমন ধরনের রোগ হতে পারে। ফলে মাথা অতিরিক্ত চুলকানোর কারণে মাথার চুলের উপরে প্রভাব ফেলে এবং মাথাব্যথা করে। খুশি হলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চর্ম ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিবেন।
- উকুনের ফলেঃ উকুনের কারণে আপনার মাথা ব্যথা হতে পারে। কারণ ও কোন মাথার চুলের গোরাতে থাকে ফলে চুলকানি হয় এর জন্য মাথার চামড়া খুস্কি হয়ে যাওয়ার ফলে মাথা ব্যাথা হতে পারে ।এজন্য অবশ্যই উকুন নাশক শ্যাম্পু রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
- পানিঃ যদি ডিহাইড্রেশনের জন্যে মাথা ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি করে পানি খেতে হবে। পানি অপর নাম যেমন জীবন তেমনভাবে প্রাণে আপনার মাথাব্যথা দূর করবে।
- কফিঃ কফিতে যে ক্যাফিন থাকে সে ক্যাফিন আপনার মাথাব্যথা কমাতে সাহায্য করে। মাথা ব্যাথা হলে অবশ্যই কফি খাবেন তাহলে আপনার মাথা ব্যথা আশা করি ভালো হয়ে যাবে।
- ম্যাগনেসিয়াম জাতীয়ঃ ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় খাবার আমাদের মাথা ব্যাথা সারাতে সাহায্য করে।কোন কোন খাবারে ম্যাগনেসিয়াম আছে সে খাবারগুলো বেছে নিয়ে অবশ্যই খাবেন তাহলে মাথা ব্যথা ভালো হয়ে যাবে।
ঘন ঘন মাথা ব্যাথার কারণ কি
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি বড় সমস্যা হল মাথাব্যথা। মাথা ব্যথার হওয়ার ফলে দৈনন্দিন যে সকল কাজ রয়েছে সেই কাজগুলোতে মনোযোগ দেওয়া যায় না। মাথাব্যথা অনেক বিরক্তিকর কিন্তু বেশিরভাগ মাথা ব্যথা মারাত্মক কোন রোগ হয় না। দুশ্চিন্তা এবং মাইগ্রেনের ৯০ ভাগ মাথা ব্যথার জন্য দায়ী। মাথা ব্যথা বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে যেমন-
- টেনশন বা হেডেক
- দুশ্চিন্তা জনিত মাথাব্যথা
- মাইগ্রেন হেডেক
- ক্লাস্টার হেডেক
- সাইনাস হেডেক
- আই হেডেক
- চক্ষু জনিত মাথা ব্যথা
এছাড়াও আমাদের মগজের ঝিল্লের মধ্যে রক্তপাত, উচ্চ রক্তচাপ, ইত্যাদি কারণে মাথাব্যথা হয়ে থাকে। আবার পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হওয়া অথবা পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খাওয়া এ ছাড়া হরমোন জনিত মাথাব্যথা সমস্যা হয়ে থাকে। ঘন ঘন মাথাব্যথার কারণ হলো দুশ্চিন্তা বেশি করা।
মাথা ভারী লাগার কারণ
কিছু সংখ্যক মানুষের মাথা ভার হয়ে থাকে কিংবা মাথার মধ্যে ঝিমঝিম করে। এই ধরনের সমস্যা যখন বাড়ির বাহিরে যায় বা কোন কাজ করার সময় মাথা ভারী সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। মাথা ভার বদ, ঝিমঝিম অনুভূতি, টলমল ভাব এই সকল সমস্যা গুলো আরো বেশি বেশি হতে থাকে।
এই সময় মনে হতে পারে মাথা ঘুরে পড়ে যাবে বা কোন বিপদ হতে পারে। তবে বিভিন্ন কারণে মাথা ভারী হতে পারে যেমন-হঠাৎ দুর্বলতা, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া এছাড়াও বিভিন্ন কারণ রয়েছে যেমন-টেনশন, সাইনাস, চোখের সমস্যা, মাইগ্রেন এর সকল সমস্যা মাথা ভার লাগার কারণ।
- হঠাৎ দুর্বলতাঃ আপনার শরীর দুর্বলতা লাগছে। শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া অথবা হাত, মুখ ইত্যাদি স্থানের শক্তি না পাওয়া, হাত ও পায়ের পেশি দুর্বল হয়ে যাওয়া, এই সকল লক্ষণ দেখা দেওয়া মানে আপনার ব্রেন স্টক হয়েছে। এর জন্য অবশ্যই নিকটবর্তী বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন।
- দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়াঃ ব্রেন স্টোক হওয়ার ফলে, আপনার দৃষ্টিশক্তি আস্তে আস্তে কমতে থাকবে এবং আপনি চোখে ঝাপসা দেখতে পারবেন এছাড়াও মাথা ঘুরে আসবে। এমন সমস্যা হলে অবশ্যই খুব দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাবেন এবং চিকিৎসা নিবেন।
- টেনশনঃ টেনশন হবার ফলে আপনার মাথা ব্যাথা হতে পারে। টেনশন এর ফলে যে মাথা ব্যথা হয় এটা হল টেনশন হেডেক। টেনশন হেটেক মূলত আমাদের মাথার পেছনদিকে হয়ে থাকে। আর এই টেনশন হেডেক শুরু হওয়ার প্রথম মুহূর্তে মাথা ভারী হয়ে আসে। এজন্য টেনশন মাথা ভারি একটি কারণ হবার।
- সাইনাসঃ সাইনাথ মাথা হালকা রাখতে সাহায্য করে কিন্তু এই সাইনাস কোনও সংক্রমণের কারণে মাথার মধ্যে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় যেমন- মাথা যন্ত্রণা করা, ইনফেকশনের জন্য হেডেক, হেবি হেবি ভাব, মাথা নামালে ব্যথা, মাথা ভারী হয়ে যাওয়া, মাথায় যন্ত্রণা হয় এ সকল সাইনাস অন্তর্ভুক্ত।
- চোখের সমস্যাঃ চোখের সমস্যার কারণে মাথাব্যথা এবং মাথা ভারী হতে পারে। চোখের সমস্যা থেকে আস্তে আস্তে উপরের দিকে কপালে যন্ত্রণা এবং মাথা ভারী হয়ে আসতে পারে। এক্ষেত্রে বিশ্রাম নেওয়ার ফলে চোখের সমস্যা সৃষ্টি হওয়া মাথাব্যথা এবং মাথা ভারী কমে যায়।
- মাইগ্রেনঃ মাথাব্যথার প্রধান কারণ হলো মাইগ্রেনের সমস্যা। তবে মাইগ্রেনের ব্যথাগুলো বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে মাইগ্রেনের ব্যাথার পেছনে ট্রিগার ফ্যাক্টর থাকতে পারে। যার ফলে আপনার আলো, শব্দ কিংবা বিভিন্ন ভিন্ন কারণে আপনার মাথা ভারী হয়ে যেতে পারে।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় গ্রাহক আশা করি মাথা ব্যাথা সম্পর্কিত সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন। অতিরিক্ত মাথাব্যথা বা প্রতিদিন মাথাব্যথা হলে, অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে চিকিৎসা নেবেন। মাঝে মাঝে মাথা ব্যথা একসময় তীব্রতা ধারণ করতে পারে, এজন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
এমন ধরনের তথ্য পেতে হলে অবশ্যই আমাদের ওয়েব সাইটে ফলো করে রাখতে হবে। আপনার মতামত কমেন্টের মাধ্যমে জানান। আজকের পোস্ট থেকে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন। আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পোষ্ট পড়ে আমাদেরকে আপনার মূল্যবান মন্তব্য লিখুন। আপনাদের প্রতিটি কমেন্ট রিভিও করা হয়
comment url