মুখের ব্রণ দূর করার উপায় - bron dur korar upai

আমরা সবাই চাই আমাদের চেহারা যেন সবসময় নিখুঁত সৌন্দর্যময় হয়ে থাকে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে আমাদের মুখমন্ডলের ত্বকের উপর বিভিন্ন ধরনের ব্রণ -আঁচিল-ক্ষুদি ক্ষুদি দানার মত বিভিন্ন ধরনের সমস্যা লেগে থাকে।আলোচনা করবো কিভাবে আপনি এ ধরনের সমস্যা গুলো থেকে খুব সহজেই সমাধান পেতে পারেন তা নিয়ে।তাই আপনার চেহারার সৌন্দর্যতা বৃদ্ধি করতে এবং ত্বককে ব্রণের হাত থেকে রক্ষা করতে পড়ুন।
মুখের ব্রণ দূর করার উপায় - bron dur korar upai
আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার ফলে আপনিও জেনে যাবেন কিভাবে ঘরোয়া পধ্যতিতে বিভিন্য উপায়ে মুখের ব্রণ দূর করা যায়।কিভাবে ত্বক পরিস্কার সতেজ ও দাগমূক্ত রাখা যায়।রাতারাতি মুখের ব্রণ দূর করার জন্য শেষ পর্যন্ত পড়ুন ধন্যবাদ।

পেইজ সূচিপত্র ঃ- মুখের ব্রণ দূর করার উপায় - bron dur korar upai

মুখে ব্রণ কেনো হয় - মুখের ব্রণ দূর করার উপায়

প্রতিবেদনের প্রথম ধাপে আমরা জানবো মুখে ব্রণ কেনো হয়।মুখের ব্রণ দূরীকরনে সর্বপ্রথম আমাদেরকে ব্রণ সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ সম্ভাবনা রয়েছে ব্রণ সম্পর্কে সঠিক ধারনা না থাকলে আমরা বিভিন্ন রকম ভুল করে বসতে পারি। মুখে বিভিন্য কারনে ব্রণ বের হয়ে থাকে।তবে অধিকাংশ মানুষের কোন কারন ছাড়া এ সমস্যা দেখা দেয়। এটি এমন একটি সমস্যা যা নিদ্দিষ্ট একটি বয়সে পৌছে গেলে সবারই হয়ে থাকে। হতে পারে আপনার কোন প্রকার ভূমিকা নেই তাও স্বাভাবিক ভাবেই মুখে ব্রণ বের হচ্ছে। 
এতে দূশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। এটি একটি স্বাভাবিক ব্যাপার।তবে যাদের মুখে মাত্রাতিরিক্ত ব্রণ বের হয় তারা অনেক সময় ভয় পেয়ে যান।বিভিন্ন ধরনের ঔষধ, ট্রিটমেন্ট ইত্যাদি করে মুখের ১২ টা বাজিয়ে ফেলে।তবে আপনাদেরকে অবগত করার উদ্দেশ্যে জানিয়ে রাখি যে ব্রণ দূর করতে এমন কোন ভুল পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন না যাতে করে সারা জীবন আপনাকে পস্তাতে হয়।মুখে ব্রণ বের হওয়ার অনেক গুলো কারণ থাকতে পারে।যেমন গবেষণায় দেখা গেছে বয়ঃসন্ধি কাল ব্রণ বের হওয়ার অন্যতম কারণ।
কারণ এই সময় শরীরের অনেক পরিবর্তন আসে।শরীর নতুন আরেকটি জীবনে পদার্পন করে।মুখে ব্রণ বের হওয়ার এটি  একটি অন্যতম কারণ। আবার অতিরিক্ত পলুশনের কারনে মুখে ব্রণ বের হতে দেখা যায়।কারণ ত্বকের উপরিভাগে বেশি ময়লা জমে গেলে মুখে ব্রণ বের হয়।অতিরিক্ত রাত জাগলে মুখে ব্রণ বের হয়।বিভিন্য ধরনের মেকাপ প্রসাধনী ইত্যাদি ব্যাবহারের ফলে মুখে ব্রণ বের হয়ে থাকে।ত্বকে ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমন ঘটলে মুখে ব্রণ বের হয়।বিভিন্য কারনে অকারনে মুখে ব্রণ বের হতে পারে।
তবে ভয়ের কোন কারণ নেই।ব্রণ এমন কোন মারাত্বক পর্যায়ের সমস্য না যা সমাধান করা যায় না।আপনি চাইলেই খুব সহজেই ব্রণ থেকে নিজেকে বাচিয়ে রাখতে পারেন। মুখের ব্রণ সারাতে অনেক ঘরোয়া পদ্ধ্যতি রয়েছে।বেশ কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে ব্রণ দূর করার কৌশল আমরা আপনাকে শিখিয়ে দিব যার ফলে আপনি নিজে থেকেই এই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।এতক্ষন আমরা মুখে ব্রণ কেন বের হয় সে সম্পর্কে জানলাম।চলুন তাহলে মুখের ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে জানে নেয়া যাক।

মুখের ব্রণ দূর করার ঔষধের নাম - ব্রণের ঔষধ কি

প্রতিবেদনের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ হচ্ছে মুখের ব্রণ দূর করার ঔষধের নাম কি? যারা দীর্ঘদিন ধরে মুখের ব্রনের সমস্যায় ভুগছেন তারা প্রায় জানার চেষ্টা করে থাকেন যে মুখের ব্রণ দূর করার জন্য কোন ওষুধটি ভালো হবে। অথবা মুখের ব্রণ দূর করার জন্য কি ওষুধ খাওয়া দরকার বা কোন ক্রিম লাগাতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় তথ্য আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি যে মুখের ব্রণের জন্য বাজারে ফার্মেসীগুলোতে বা বিভিন্ন কসমেটিকসের দোকানগুলোতে যে ধরনের ক্রিম অথবা মলম গুলো পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহারের ফলে মুখের ত্বকের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
কারণ এরকম বেশিরভাগ মানুষেরই দেখা গেছে যে বিভিন্ন ধরনের ব্রণ নাশক ক্রিম অথবা মলম ব্যবহারের ফলে তারা বিভিন্ন ধরনের স্কিন সমস্যায় পড়েছে। এ ধরনের ক্রিম অথবা মলম গুলো মুখের উপরের পাতলা ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে। বিভিন্ন ধরনের ছোপ ছোপ দাগ রেখে যায়। দেখা যায় এগুলো ব্যবহার করলে স্বল্প সময়ের জন্য ব্রণ হয়তোবা দূর হয় কিন্তু এগুলোর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বাজেভাবে আপনার মুখের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ ব্রণ এমন একটি জিনিস যা নিজে থেকে একসময় ভালো হয়ে যায়।
একটি ব্রণ বের হওয়ার পর প্রথম দিন থেকে সাত দিনের মধ্যে নিজে থেকেই সেরে যায়। একটি ব্রণ বের হওয়ার পর কিছুদিনের মধ্যেই পেকে যায় এবং এর মধ্যে সাদা হয়ে ভেতরে পুঁজ জমে যায় এবং যখন এটি পেকে সাদা হয়ে যায় তখন সামান্য একটু ফুটো করে ভেতর থেকে সমস্ত পুঁজ অর্থাৎ বর্জ্যগুলো বের করে দিতে হয়। আর এভাবে ব্রণ এক সময় কয়েক দিনের মধ্যেই নিজে থেকে উধাও হয়ে যায়। 

এখন একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি যে ব্রনের এই কার্যকলাপের মেয়াদকালের পূর্বে অর্থাৎ কাঁচা অবস্থায় যদি কেউ ব্রণ ক্ষতিগ্রস্ত করে তাহলে সেই ব্রণ ভালো হতে সময় লেগে যায় এবং সারা জীবনের জন্য সেখানে একটি ব্ল্যাক স্পট অর্থাৎ দাগ হয়ে যায়। যেটি আর কোনদিন সেখান থেকে মুছবে না।

আপনারা বাজারে ব্রণের সমস্যা দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। তবে ব্রণের জন্য বিভিন্ন ধরনের মলম ক্রিম অথবা ঔষধ সেবন করা থেকে বিরত থাকায় উত্তম। কারণ এগুলো উপকারের থেকে ক্ষতি বেশি।

প্রাকৃতিক উপায়ে ব্রণ দূর করার কৌশল

প্রতিবেদনের এই ধাপে আমরা আপনাদেরকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে ব্রণ দূর করার কৌশল সম্পর্কে জানিয়ে দেব। আপনার দৈনন্দিন জীবনে নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের ব্যবহার্য উপকরণ সমূহ দিয়ে ব্রণের হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন। ব্রণ এমন একটি জিনিস যা একেবারে মুখের ওপর হয়ে থাকে। আর মুখ হচ্ছে আমাদের শরীরের সবথেকে সুন্দরতম স্থান। মুখ ভর্তি ব্রণ থাকলে আপনি মানসিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যান। আপনার মানসিক কনফিডেন্স লেভেল কমে যায়। আপনি হীনমন্যতায় ভোগেন। 
ব্রণ এমন একটি সমস্যা যা একটি মানুষকে মানসিকভাবে দুর্বল করে ফেলে এবং দৈনন্দিন জীবনে কাজ কর্মের উপর বিষন্নতা সৃষ্টি করে। আমরা জানি ১০০ জন মানুষের ভিতরে প্রায় ৯০ জনের মুখেই ব্রণ এর সমস্যা দেখা দেয়। এবং যারা ব্রণের সমস্যায় ভুগে থাকেন তারা প্রায় জানতে চেষ্টা করেন যে কিভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে ব্রণ দূর করা যায়। আপনাকে অবগত করার উদ্দেশ্যে জানিয়ে রাখি আপনি জেনে খুশি হবেন যে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এমন বেশ কিছু নিত্য ব্যবহার্য উপকরণ সমূহ রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
এখানে যেসব উপকরণের কথা বর্ণনা দেওয়া আছে সে সকল উপকরণ গুলো আপনি আপনার রান্নাঘরেই পেয়ে যাবেন। এগুলো কোনটা কিভাবে ব্যবহার করবেন সে সকল পদ্ধতি আমরা নিচে বর্ণনা করেছি।
প্রাকৃতিক উপায়ে ব্রণ দূর করতে হলে আপনাকে এক টেবিল চামচ লেবুর রস নিতে হবে। এর সাথে এক টেবিল চামচ দারুচিনির গুড়ো ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এবং এটি রাতে ঘুমানোর পূর্বে ব্রনের উপরে সরাসরি প্রয়োগ করতে হবে। এবং তারপর এভাবে রেখে দিয়ে সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। ব্রণ দূর করতে এই পদ্ধতিটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে
প্রাকৃতিক উপায়ে ব্রণ দূর করতে আরো একটি পদ্ধতি হচ্ছে বরফের টুকরো সরাসরি ব্রণের উপরে প্রয়োগ করা। এখানে যেটা করতে হবে তা হচ্ছে বরফের একটি ছোট টুকরো নিয়ে এটাকে একটি সুতি কাপড়ের মধ্যে পেঁচিয়ে সরাসরি ব্রনের ওপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে রাখতে হবে। এভাবে একের অধিক বার করলে ব্রণ ঠিক হয়ে যায়।
মুখের ব্রণ দূর করতে টি ট্রি অয়েল খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে যা করতে হবে টি ট্রি অয়েল দু এক ফোঁটা সরাসরি ব্রনের উপরে প্রয়োগ করতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে ব্রণের উপর টি ট্রি অয়েল লাগিয়ে ঘুমিয়ে যান। এবং সকালে উঠে এটি সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
লেবুর রস মুখের টক্সিন ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে আমরা সচরাচর ভাত দিয়ে যে লেবু খায় সেই লেবু এক ফালি কেটে নিয়ে সরাসরি পুরো মুখমন্ডলের উপর দুই মিনিট মেখে নিতে হবে। এতে মুখের ব্রণ সহ অন্যান্য যেকোনো ধরনের ক্ষুদি ক্ষুদি দানা গুলো থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
বলা হচ্ছে ব্রণ দূর করতে ডিমের সাদা অংশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে ডিমের সাদা অংশটি ভালোভাবে ফেটে নিতে হবে। এবং তারপর তৈরিকৃত পেস্ট টি সরাসরি ব্রনের উপর ভালোভাবে মেখে নিতে হবে এবং এভাবে দশ মিনিট রেখে দিতে হবে। এবং তারপর সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
প্রাকৃতিক উপায়ে আপনার নিত্য ব্যবহার্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো দিয়ে কিভাবে আপনি ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন তা নিশ্চয়ই এতক্ষণে খুব ভালোভাবে বুঝে গেছেন। উপরের যে পদ্ধতিগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে সে পদ্ধতি গুলোর মধ্যে থেকে যে কোন একটিও অনুসরণ করার ফলে আপনি ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

এক রাতের মধ্য ব্রণ দূর করার কৌশল

ব্রণ একটি স্ক্রিন ডিজিজ। আমরা সকলেই জানি আমাদের মুখমন্ডলের ওপরে ব্রণ বের হয়। এবং এর একটি মেয়াদকাল আছে। কয়েকদিনের ব্যবধানে আবার নিজে থেকেই তা সেরে ওঠে। তবে অনেকে আছে এই ব্রণ থেকে এক রাতের মধ্যে মুক্তি পেতে চাই। তবে আপনাদের অবগত করার উদ্দেশ্যে জানিয়ে রাখি যে এক রাতের ব্যবধানে এত তাড়াহুড়ো করে আপনি ব্রণ থেকে রেহাই পেতে পারেন না।
কারণ আপনাদের ইতিপূর্বেই জানিয়ে দিয়েছি যে ব্রণ নিয়ে বেশি তাড়াহুড়ো করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। আর কাঁচা ব্রণ ক্ষতিগ্রস্ত করলে সারা জীবনের জন্য সেই জায়গায় একটি দাগ থেকে যায় যা পরবর্তীতে আর মিটে না। অতএব প্রতিবেদনের এই ধাপে আমরা আপনাদেরকে এমন কিছু পদ্ধতি শিখিয়ে দেবো যেগুলো অনুসরণ করলে আপনি এক রাতের মধ্যে না হলেও অনেক দ্রুত ব্রণের সমস্যা ঠিক করতে পারবেন নিজের হাতে।
এক্ষেত্রে তথ্যসূত্র অনুযায়ী অতি দ্রুত ব্রণের হাত থেকে মুক্তি পেতে সরিষার গুড়োর সাথে এক টেবিল চা চামচ মধু মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করতে হবে। এবং এই পেস্ট সরাসরি আপনার মুখের উপরে 15 থেকে 20 মিনিট মেখে নিতে হবে। অতঃপর সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। অতি দ্রুত ব্রণের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই পদ্ধতিটি অনেক কার্যকরী।
অতি দ্রুত ব্রণের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য পাতি লেবু এক ফালি কেটে নিয়ে সরাসরি মুখমণ্ডলের উপরে পাঁচ মিনিট মেসেজ করুন। এবং এরপর ১০ মিনিটে এভাবে রেখে দিন এবং পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
ছোট্ট একটি পাত্রের মধ্যে লেবুর রস সংগ্রহ করুন এবং তুলো দিয়ে সরাসরি ব্রণের উপরে মাখিয়ে নেন। এই পদ্ধতির রাতে অনুসরণ করে সারা রাত রেখে দেন এবং সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন। ব্রনের উপরে লেবুর রস সারারাত লাগিয়ে রাখার ফলে ব্রণ মারা যাবে।
কাপড়ের মধ্যে একটি বরফের টুকরো নিতে হবে তারপর এটি সরাসরি ব্রণের উপরে কিছুক্ষণ ধরে রাখতে হবে। এভাবে পাঁচ মিনিট অন্তর অন্তর বেশ কয়েকবার ব্রণের উপরে এই বরফের টুকরো ধরে রাখুন এতে করে ব্রণ মারা যাবে।
উপরের পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে একেবারে স্বল্প সময়ের মধ্যে আপনি ব্রণের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন। আপনি যদি ব্রণের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে উপরের পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করে দেখতে পারেন। উপরের পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করতে আপনার এক টাকাও খরচ করতে হবে না। যে সকল উপকরণগুলো প্রয়োজন রয়েছে তা আপনার হাতের কাছে রয়েছে।

ঘরোয়া পদ্ধ্যতিতে ব্রণ দূর করার কৌশল

প্রতিবেদনের এই ধাপে আমরা আপনাদেরকে ব্রণের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার আরো কিছু পদ্ধতি শিখিয়ে দেবো যেগুলো আপনি ঘরে বসে তৈরি করে ফেলতে পারবেন খুব সহজেই। ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করতে আপনার এক টাকাও খরচ করতে হবে না। আপনি এসব সমস্ত প্রয়োজনীয় উপকরণ সামগ্রী গুলো পেয়ে যাবেন আপনার হাতের কাছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য এমন কয়েকটি উপকরণ যেগুলো দিয়ে আপনি বাসায় বসে সম্পূর্ণ ঘরোয়া উপায়ে ব্রণের হাত থেকে মুক্তি  পেয়ে যাবেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
  • আপনি যদি চান আপনার মুখমণ্ডলে কোন প্রকার ব্রণ অথবা খুদি খুদি দানা না বের হয় তাহলে সব সময় আপনার ত্বক পরিষ্কার রাখুন। এবং মুখের যে কোন জায়গায় হাতের নখ লাগাবেন না।
  • মুখ থেকে ব্রনের দাগ দূর করার জন্য মধু ও দারুচিনের গুঁড়া দিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন এবং এর ওপর এক ঘন্টা লাগিয়ে রাখুন অতঃপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • চন্দনের গুড়ার সাথে গোলাপজল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এবং ব্রণের জায়গা গুলোতে এই পেস্ট টি এক ঘন্টা লাগিয়ে রাখুন। অতঃপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • কমলালেবুর খোসা ভালো করে বেটে নিয়ে তারপর কাঁচা দুধ মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন এবং নিয়মিত এটি ব্যবহার করলে চেহারা উজ্জ্বল হয় এবং মুখে ব্রণের সমস্যা দূর হবে।
  • এলোভেরা জেল দিনে দুই বার সমস্ত মুখমন্ডলের উপরে ব্যাবহার করুন। এবং এটি ব্যবহারের এক ঘন্টা পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • একটি পাত্রে পাকা টমেটোর এবং শসার রস সংগ্রহ করুন। এবং দুটিকে একসাথে করে সরাসরি মুখমন্ডলের উপরে লাগান। অতঃপর দশ মিনিট পর সাধারণ পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ বার ব্যাবহার করুন।
  • মুখে ব্রণের দাগ দূর করতে পাকা কলার পেস্ট ব্যাবহার হয়ে থাকে।
  • কাচা হলুদ ভালোভাবে বেটে নিয়ে সামান্য মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে লাগান।
  • লেবু কিন্তু প্রাকৃতিক ব্লিচের কাজ করে থাকে।এক্ষেত্রে লেবুর রস সরসরি ব্রণের ওপড় লাগাতে হবে।এতে জ্বালা অনুভব হতে পারে।তবে এতে করে ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • বেকিং সোডা ২ চামচ সামান্য পানিতে মিশিয়ে নিয়ে সমস্ত মুখমন্ডলের ওপড় লাগিয়ে নিতে হবে।তারপর মুখ শুকানোর জন্য রেখে দিন।পরে সাধারণ পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিয়ে ভালো কোন অলিভ অয়েল অথবা ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যাবহার করুন।
  • চাউলের গুড়ার সাথে মধু মিশিয়ে একটি স্ক্রাব তৈরি করুন।এই স্ক্রাব সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন ব্যাবহার করুন। এতে মুখের বিভিন্য সমস্য যেমন ব্ল্যাকহেডস হোয়াইট হেডস দূর হবে।হ্যা তবে মুখে কাচা ব্রণ থাকলে এই পদ্ধ্যতিটি এড়িয়ে চলুন
ব্রণ সম্পর্কে জানতে চাই - কি করলে মুখে ব্রণ হবে না

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পোষ্ট পড়ে আমাদেরকে আপনার মূল্যবান মন্তব্য লিখুন। আপনাদের প্রতিটি কমেন্ট রিভিও করা হয়

comment url