পোকামাকড় তাড়ানর ঘরোয়া উপায় - পোকামাকড়ের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
পোকামাকড় তাড়ানর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে সবারই জানার আগ্রহ আছে। পোকামাকড়ের উপদ্রব
সবার ক্ষেত্রেই একটি বিরক্তিকর ব্যাপার। পোকামাকড় তাড়ানর ঘরোয়া উপায় নিয়ে
আলোচনা করা হয়েছে। বাসা-বাড়িতে পোকামাকড়ের উপদ্রব কেওই চায় না। তাই পোকামাকড়ের
হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় এবং পোকামাকড় তাড়ানর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নিন
পোকামাকড় তাড়ানর ঘরোয়া উপায় ব্লগ পোষ্ট। ছবি সংগৃহীতঃ- 👆👆👆👆👆👆👆
পোকা দমন করতে পুদিনা পাতা অনেক কার্যকারি ভূমিকা পালন করে। পোকা দমন করতে অল্প
কছু পুদিনা পাতা কুচি করে ম্যাস্ট্রেট অথবা বিছানার চারপাশে ছড়িয়ে রাখুন।এছাড়াও
নিমপাতা ও পোকা দমন করার ক্ষেত্রে ভালো ভূমিকা পালন করে। নিচে এ ব্যাপারে
বিস্তারিত ভাবে আরও বর্ণনা রয়েছে পড়া চালিয়ে যান
পেইজ সূচিপত্রঃ- পোকামাকড় তাড়ানর ঘরোয়া উপায় - পোকামাকড়ের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
পোকামাকড় তাড়ানর দোয়া
পোকামাকড় এমন একটি জিনিস যা পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে আছে।পৃথিবীর সর্বত্রই
কীটপতঙ্গ রয়েছে।ঝোপঝাড়-জঙ্গল থেকে শুরু করে লোকালয় পর্যন্ত সর্বত্র এদের উপদ্রব
রয়েছে। এমনকি বাসা-বাড়িতেও পোকামাকড়ের উপদ্রব ঘটে থাকে।
পোকামাকড়ের মধ্যে অধিকাংশই রয়েছে বিষাক্ত কীট-পতঙ্গ। এবং এসব পোকামাকড়ের দংশনের
ফলে মানুষের প্রানঝুকি পর্যন্ত হতে পারে। তাই যেকোন ধরনের পোকামাকড়ের হাত থেকে
বেচে থাকা জরুরী।
আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম কীট-পতঙ্গ, সাপ-বিচ্ছু কিংবা যেকোন ধরনের বিষাক্ত অথবা
হিংস্র প্রাণীর আক্রমণ থেকে বেঁচে থাকার জন্য দোয়া শিখিয়েছেন।
হুজুর পাক (সাঃ) এর শিখিয়ে দেওয়া এই দোয়াটি যারা নিয়মিত
সকাল-বিকাল পাঠ করবে মহান আল্লাহ্ পাক রব্বুল আলামীন তাদেরকে এসব বিষাক্ত
পোকামাকড় এবং যাবতীয় ক্ষতিকর হীংস্র পশু-প্রাণীর আক্রমন হতে রক্ষা করবেন
ইনশাআল্লাহ্
হুজুরে কারীম (সাঃ) এর শিখিয়ে দেওয়া দোয়াটি হলোঃ-
أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ.
উচ্চারণঃ আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিং শাররি মা খালাক্বা।
অর্থ হলো- আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি আল্লাহ্র সব পুর্ণ কালেমাসমূহের উসিলায়,
তার সৃষ্ট সকল প্রাণীর অনিষ্টতা থেকে।
এই দোয়াটির ফজীলত সমূহ হাদিস শরীফের মধ্যে এসেছে এভাবে- হজরত আবু হুরায়রা
রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন একবার এক লোককে বিচ্ছু দংশন করলো অতঃপর লোকটি
ব্যাথার কারণে ঘুমাতে পারছিলেন না। সকালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লামকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি বলেন, যদি সন্ধ্যা বেলায় এই
দোয়াটি পড়তে, তাহলে সকাল পর্যন্ত বিচ্ছুর আক্রমন কোন প্রকার ক্ষতি করতে
পারতো না। (মুসলিম, ইবনু মাজাহ্, আবু দাউদ)
হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণীত রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যাক্তি সন্ধ্যা বেলায় এই দোয়াটি
পড়ে ঘুমাবে ওই রাতে কোন প্রকার প্রাণীর বিষ তাকে কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
হযরত সুহাইল ইবনে আবি সালেহ রাঃ হতে বর্ণিত তিনি বলেন আমাদের
পরিবারের সকল সদস্য এই দোয়াটি মুখস্ত করে নিয়েছিল এবং নিয়মিত দোয়াটি পাঠ
করত, কোন একদিন আমাদের পরিবারের একটি মেয়েকে বিচ্ছু দংশন করল কিন্তু সে
কোন ব্যথায় অনুভব করেনি। সুবহানাল্লাহ। (মুসনাদে আহমদ)
হযরত খাউলা বিনতে হাকিম সুলামী রাদিআল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি কোন এলাকায় অবতরণ করার
পর এই দোয়াটি পাঠ করবে অতঃপর ওই এলাকা থেকে প্রস্থান না করা পর্যন্ত তাকে
কোন প্রকার হিংস্র প্রাণী কিংবা খারাপ মানুষ তার কোন প্রকার ক্ষতি
করতে পারবে না (মুসলিম, তিরমিজি)
আমরা যদি প্রকৃত মুমিন হয়ে থাকি তাহলে অবশ্যই আমাদের উচিত মনে
প্রাণে এই দোয়ার উপর আমল করা। কারণ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই
সাল্লামকে সৃষ্টি জগতের রহমাতুল্লিল আলামিন হিসেবে প্রেরিত করা
হয়েছিল।
তার শিখিয়ে দেওয়া প্রতিটা ধাপ অনুসরণ করে চললে মানব কুল সর্বপ্রকার
অনিষ্টের হাত থেকে রক্ষা পাবে ইনশাআল্লাহ। হুজুর পাকের হাদিসের ওপরে
প্রতিটা মুসলমানের আমল করা উচিত।
পোকামাকড় তাড়ানর ঘরোয়া উপায়
যেকোনো সময় যখন তখন বাসা বাড়িতে পোকামাকড়ের উপদ্রব দেখা দিতে পারে। আপনি
কখনই চাইবেন না আপনার প্রিয় আবাসস্থলে যে কোন প্রকার পোকামাকড়ের অবস্থান
হোক। কিন্তু আপনার অজান্তেই পোকামাকড় আপনার আবাসস্থলে হানা দিতে
পারে।
বাসায় পোকামাকড়ের উপদ্রব নিয়ে চিন্তার বা ভয়ের কোন কারণ নেই। পোকামাকড়
তাড়ানর ঘরোয়া উপায় রয়েছে অনেক। আপনি চাইলেই আপনার নিত্য প্রয়োজনীয়
কিছু জিনিসপত্র ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার আবাসস্থল থেকে যে কোন প্রকার পোকামাকড়
বিনাশ করতে পারবেন।
ভিনেগার আমরা সবাই চিনে থাকি। এই ভিনেগার পোকামাকড় তাড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার
করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে দুই কাপ পানির সাথে এক কাপ ভিনেগার ভালোভাবে
মিশিয়ে নিন। এবং এই মিশ্রণটি আপনার আবাসস্থলের আনাচে-কানাচে প্রে করার
মাধ্যমে ছড়িয়ে দিন। এতে করে কোন ধরনের পোকামাকড় থেকে নিস্তার
পাওয়া যাবে।
আমরা অনেক সময় লক্ষ্য করি রান্নাঘর বা বাসার আনাচে কানাচে তেলাপোকা দেখা যায়।
সে ক্ষেত্রে আপনি শসা গোল গোল করে কেটে বাসার বিভিন্ন কোনায় রেখে
দিন। শসয় এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যা তেলাপোকার অপছন্দ। ফলে
এইসব জায়গায় তেলাপোকা আসবেনা।
আপনার রান্নাঘরে থাকা গোলমরিচ, পেঁয়াজ এবং রসুন এর বেটে পেষ্ট তৈরি
করে ফেলুন। এবং এই পেষ্টটি পরিমাণ মতো পানির সাথে মিশিয়ে বোতলে ভরে এবং
পোকামাকড় থাকার জায়গা গুলোতে স্প্রে করুন। এতে যে কোন প্রকার পোকামাকড়
উপদ্রব কমবে।
পেপারমিন্ট অয়েল আমরা সকলেই চিনি। এই পেপারমেন্ট পোকা দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে
দারুন ভূমিকা পালন করে। পেপারমিন্ট অয়েলের গন্ধ পোকা দের ক্ষেত্রে
অসহনীয়।
এক্ষেত্রে ৮ ফোঁটা পেপারমিন্ট অয়েল এক কাপ পানির সাথে মিশিয়ে নিন। এবং
এই মিশ্রণটি একটি বোতলের ভিতরে ভরে বাসা বাড়ির প্রতিটি
আনাচে-কানাচে স্প্রে করুন।
এক্ষেত্রে ভিনেগার এবং পেপারমিন্ট অয়েল একত্রে মিশিয়ে ব্যবহার করা
যেতে পারে।
সকলের অতি পরিচিত পুদিনা পাতা। এই পুদিনা পাতা পোকা দমনের ক্ষেত্রে কার্যকরী
ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে পুদিনা পাতা কুচি করে কেটে পোকাদের
আবাসস্থলের আশেপাশে অথবা ঘরের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে রাখুন।
পোকা তাড়ানোর ক্ষেত্রে বেকিং সোডার উপকারিতা হয়েছে। এক্ষেত্রে বেকিং
সোডা সরাসরি পোকা দের আনাগোনার জায়গায় ছিটিয়ে রাখতে হবে। রান্নাঘর অথবা
বেডরুমের মেঝেতে বেকিং সোডা ছিটিয়ে রাখুন। এটি প্রাকৃতিক কিলার
হিসেবে কাজ করবে।
গরমকালে পোকামাকড় তাড়ানর ৫ টি ঘরোয়া উপাই
যেমন বিশেষ কিছু পোকামাকড় রয়েছে যেগুলো শুধু বর্ষাকালে দেখা যায়। সারা
বছর টুকটাক পোকামাকড়ের আনাগোনা দেখা গেলেও বিশেষ কিছু সময় এদের
উপদ্রব বেড়ে যায়।
যেমন গ্রীষ্মকালে পোকামাকড়ের উপদ্রব বেশি দেখা যায়। কারণ গ্রীষ্মকাল হচ্ছে
পোকামাকদের প্রজননের সময়। গ্রীষ্মকালে আবহাওয়া উষ্ণ থাকে।
আর্দ্র পরিবেশ কীটপতঙ্গদের জন্য আদর্শ সময়।
গরমকালে বাসা বাড়িতে যেকোন প্রকার কীট -পতঙ্গের হাত থেকে রক্ষা
পাওয়ার জন্য রাসায়নিক কীটনাশক দ্রব্য ব্যবহার করে থাকে। বাজার থেকে
ক্রয়কৃত বিভিন্ন পোকামাকড় মারা বিষে মানব দেহের জন্য পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তবে ভয়ের কোন কারণ নাই। পোকামাকড় তাড়ানর ঘরোয়া
উপায় ব্যবহার করে এসব পোকার হাত থেকে নিস্তার পাওয়া সম্ভব।
পোকামাকড় তাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করায় উত্তম। কারণ
প্রাকৃতিক উপায় কোন প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে না। স্বাস্থ্যের পক্ষে
কোন প্রকার ঝুকিপূর্ণ ব্যাপার থাকে না। তাই কথা না বাড়িয়ে চলুন
প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে পোকামাকড় তাড়ানর ঘরোয়া উপায় গুলো জেনে
নেওয়া যাক
আমরা অনেক সময় লেবু অথবা কমলার খোসা ফেলে দেই।এই লেবু অথবা কমলার খোসা বেটে
পেষ্ট করে নিন। তারপর বোতলের মধ্যে পরিমান মত পানি নিয়ে পেষ্টটি ভালোভাবে
ঝাকিয়ে নিন। এবার পুরো বাড়িতে স্প্রে করুন। এক্ষেত্রে কমলা কিংবা লেবুর রস ও
ব্যাবহার করা যেতে পারে।
পেপেরমিন্ট-ল্যাভেন্ডার অয়েল-টি ট্রি অয়েলের মতো কিছু এসেন্সিয়াল তেল
প্রাকৃতিকভাবে পোকামাকড় দমনের ক্ষেত্রে দারুন কার্যকারি। এজন্য যা করতে হবে
বাজার থেকে এই জাতীয় অয়েল কিনে বোতলের মধ্যে সামান্য পানি নিয়ে তাতে পরিমান মতো
অয়েল নিন।
অতঃপর ভালোভাবে ঝাকিয়ে নিন। এবং পুরো বাড়ির আনাচে-কানাচে স্প্রে
করবেন। বিশেষ করে পোকা প্রবেশের রাস্তা গুলোতে স্প্রে করতে হবে।
রসুন ব্যাবহার করতে পারেন পোকামাকড় তারানর জন্য। রসুনের কয়েকটি অংশ নিয়ে বেটে
নিন।এবং পানির সাথে মিশিয়ে স্প্রে করলে বাড়ি পোকামুক্ত রখাতে পারবেন।কারণ
রসুনের তীব্র গন্ধ পোকাদের জম হিসেবে কাজ করে।
ভিনেগার পোকা দমন করার একটি ভালো উপাই হতে পারে। পোকামাকড় তাড়ানর জন্য ভিনেগার
অতি সুপরিচিত।এক্ষেত্রে ভিনেগারপানির সাথে মিশিয়ে স্প্রে করতে হয়।খুব সহজেই এই
পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়।
ভিনেগারের ক্ষেত্রে সবথেকে বড় সুবিধা হচ্ছে আপনি এটি সব যায়গায় নির্দিধায়
ব্যাবহার করতে পারেন।সর্বত্র ব্যাবহারের জন্য ভিনেগার নিরাপদ।
আপনার রান্নাঘরে থাকা দারুচিনি দিয়ে আপনি পোকামাকড় দমন করতে পারেন।হ্যা পোকা
দমনের জন্য দারুচিনিও ব্যাবহার করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে যেটা করতে হবে
দারুচিনি ভালোভাবে গুড়ো করে নিতে হবে।
তারপর এই গুড়ো বাড়ির আনাচে-কানাচে ছিটিয়ে দিতে হবে।বাসার প্রবেশ দুয়ার
,জানালার ধারে বিশেষ করে পোকার এন্ট্রি পয়েন্ট গুলোতে ছিটিয়ে দিতে হবে।
দারুচিনির তীব্র সুগন্ধি পোকাদের জন্য অসহনীয়।
বর্ষাকালে পোকামাকড় থেকে বাঁচার উপায়
বর্ষাকালে স্বাভাবিকভাবেই আবহাওয়া সব সময় স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থায় থাকে। এ সময় বাসা বাড়িতে সরীসৃপ শ্রেণীর পোকামাকড়ের
উপদ্রব বেড়ে যায়। মশা মাছি থেকে শুরু করে পিপড়া, তেলাপোকা- টিকটিকি-
মাকড়সা ইত্যাদি এমনকি সাপের ও আনাগোনা দেখা যায়।
পোকামাকড় দূর করার জন্য বাজারে বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক কীটনাশক পাওয়া
যায়। এসব কীটনাশক ব্যবহার করার ফলে বিভিন্ন প্রকার পোকামাকড়ের হাত
থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।
তবে কীটনাশক বা পোকামাকড় তাড়ানোর বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক
ঔষধ মানবদেহে জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। সেগুলো আমাদের নিঃশ্বাসের সঙ্গে
শরীরের ভেতরে প্রবেশ করে আমাদের ফুসফুসের জন্য ক্ষতিসাধন করতে
পারেন।
এক্ষেত্রে বেশি প্রভাব পড়ে থাকে বাসায় যদি ছোট শিশু বাচ্চা থাকে তাহলে।
বাসায় বাচ্চা থাকলে এ ধরনের রাসায়নিক কীটনাশক কোনোভাবে ব্যবহার করা
উচিত নয়।
তবে এক্ষেত্রে চিন্তার কোন কারণ নেই পোকামাকড় তাড়ানর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আমরা অবগত হব। বিভিন্ন প্রকার ঘরোয়া উপায় এর
মাধ্যমেও আপনি পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
ল্যাভেন্ডার অয়েল নামক এক ধরনের তেল বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। এই তেলের
তীব্র সুগন্ধ পোকামাকড় তাড়ানোর ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর।
এক্ষেত্রে একটি বোতলের মধ্যে তিন চামচ লেভেন্ডার তেল এক কাপ পানির মধ্যে
মিশিয়ে নিন এবং ভালোভাবে ঝাঁকে নিন। অতঃপর এই মিশ্রণটি ঘরের
আনাচে-কানাচে স্প্রে করুন।
বিভিন্ন কসমেটিকসের দোকানে টি ট্রি অয়েল নামক তেল পাওয়া
যায়। এই তেলটি ও বোতলের মধ্যে পানির সাথে মিশিয়ে ভালোভাবে
ঝাঁকিয়ে তারপর বাড়ির আনাচে-কানাচে স্প্রে ক্রুন। এই মিশ্রণটি ছারপোকা
দমন করতে বেশ ভালো ভূমিকা পালন করে।
বাজারে বিকৃত আরো একটি তেলের নাম হচ্ছে ইউক্যালিপটাস তেল। গবেষকদের
মতে ইউক্যালিপটাস গাছের গা থেকে এক ধরনের ঝাঁঝালো গন্ধ নিসৃত হয়
যা যেকোনো ধরনের পোকামাকড়ের জন্য অসহনীয় এমনকি ইঁদুরের ক্ষেত্রেও।
এক্ষেত্রে যেটি করতে হবে এক কাপ পানির সাথে এক চামচ লেমন অয়েল এবং দুই চামচ
ইউক্যালিপটাস অয়েল মিশিয়ে ভালোভাবে ঝাটিয়ে নিতে হবে। এবং উত্তম
মিশ্রণটি রান্নাঘরসহ আনাচে কানাচে স্প্রে করতে হতে
হবে। বর্ষাকালে পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এই টোটকা গুলো দারুন
ভূমিকা পালন করে থাকে।
যেহেতু বর্ষাকালে স্বাভাবিকভাবে আবহাওয়া সবসময় স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থায় থাকে। তাই রান্নাঘর থেকে শুরু করে পুরো বাড়ি স্যাভলন অথবা
ভিনেগার দিয়ে মুছা উচিত। এতে করে পিঁপড়া এবং অন্যান্য প্রকার উপদ্রব
কমবে। দরজার চৌকাঠ এবং জানালার চৌকাঠে বোরিক পাউডার ছিটিয়ে রাখুন।
বর্ষাকালে বৃষ্টির দিনগুলোতে গরম পানির মধ্যে সেভ্লন মিশিয়ে বাসার
আনাচে কানাচে স্প্রে করে রাখুন।
ন্যাপথন আমরা সকলেই চিনি। এটির তীব্র সুগন্ধ আমাদের কাপড়চোপড় সতেজে রাখে
এবং একই সাথে পোকামাকড় তাড়ানোর জন্য দারুণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই
ন্যাপথন অথবা কর্পূর যাই বলি না কেন এটি কিন্তু মশা মাছি তাড়ানোর
ক্ষেত্রে দারুন কার্যকারি।
এক্ষেত্রে এক কাপ পানির মধ্যে কিছু ন্যাপথন গুরো ভালোকরে মিশিয়ে নিয়ে ঘরের এক
কোণায় রেখে দিতে হবে। সাথে রান্নাঘরের কোণায় রেখে দিন। পোকামাকড় তাড়ানর ঘরোয়া উপায় এর মধ্যে এটি একটি সহজল্ভ্য এবং ভেজাল্মুক্ত পদ্ধতি।
পোকামাকড় তাড়ানোর ক্ষেত্রে নিমপাতা একটি
সহজলভ্য জিনিস। এক্ষেত্রে বাসা বাড়ির আনাচে কানাচে নিম
পাতা ছড়িয়ে রাখলে পোকামাকড়ের উপদ্রব কম হয়।
উপরের আলোচিত পোকামাকড় তাড়ানর ঘরোয়া উপায় এর বিষয়বস্তু গুলোর মধ্যে
কিছু কিছু ধাপ আপনিও বাস্তবায়ন করে দেখতে পারেন।সবার মতো আপনিও আপনার
বাসা-বাড়িকে পোকামুক্ত রাখতে পারবেন।ইনশাল্লাহ্
পোষ্ট পড়ে আমাদেরকে আপনার মূল্যবান মন্তব্য লিখুন। আপনাদের প্রতিটি কমেন্ট রিভিও করা হয়
comment url